Read Time:4 Minute, 8 Second

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার ঘটনায় আলোচনায় আসাস্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য অনু বিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগমকে নিয়ে সংবাদ ঠেকাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। গত বুধবার (১৯ মে) এ চিঠি দেওয়া হয়।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ১৭ মে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে ঘটে যাওয়া অনভিপ্রেত ঘটনায় এ বিভাগে কর্মরত অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগমের নাম উল্লেখ করে যে ছবি/ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে সে ছবি/ভিডিও তার নয়।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আনজুমান আরার সই করা ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা এবং সাধারণ নাগরিক হিসেবে এতে তার (জেবুন্নেসা) ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত জীবনের মর্যাদাহানি হচ্ছে। এ কারণে অনতিবিলম্বে বিষয়টি সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে কাজী জেবুন্নেসা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সম্পর্কে অসত্য সংবাদ, ছবি বা ভিডিও ক্লিপ প্রচার করা থেকে বিরত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

সেই চিঠিতে তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে ‘প্রধান তথ্য কর্মকর্তা’র স্থলে ‘মহাপরিচালক’ উল্লেখ করা হয়েছে। যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতার পরিচয় ফুটে উঠেছে বলে গণমাধ্যমকর্মীরা বলছেন।

সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে গত সোমবার রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির চেষ্টার অভিযোগ তুলে আটকে রাখা হয়েছিল প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনাকে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে তার বিরুদ্ধে মামলাও করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ওই মামলায় রোজিনা এখন কারাগারে রয়েছেন।

রোজিনা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার সহকর্মীরা পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির খবর ছাপায় তিনি কর্মকর্তাদের আক্রোশের শিকার হয়েছেন।

এদিকে সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোজিনাকে আটকে রাখার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা। হেনস্তাকারী হিসেবে তার নাম উল্লেখের পাশাপাশি তাকেও দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে সোশাল মিডিয়ায় অনেকে চিহ্নিত করছেন।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, কাজী জেবুন্নেছার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post রোজিনার জামিনে কালক্ষেপণে ক্ষুব্ধ ৮৩ বিশিষ্ট নাগরিক
Next post আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে পাসপোর্টে পরিবর্তন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Close