Read Time:3 Minute, 31 Second

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক থেকে দুই কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা চাওয়া হয়েছে।

দেশের চলমান টিকা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তত ৪০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

“যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা অতিরিক্ত রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন টিকা চেয়েছি।”

তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সরকার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ভারতকে কোন টিকা দেয়নি বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাকে জানিয়েছেন।

রাশিয়া থেকে টিকা আনার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া থেকে কবে টিকা আসবে, কতটুকু আসবে— সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে।

তিনি বলেন, “তবে দেশটির সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যার ভিত্তিতে তারা ভ্যাকসিন দেবে বা কো-প্রোডাকশনে যাবে। সে প্রস্তাব এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরীক্ষা করে দেখছে।”

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকার জোগানে ঘাটতি থাকায় ২৬ এপ্রিল প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ করার পর বুধবার ৫ মে টিকা নিতে নিবন্ধন বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সরকার বলছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির নিবন্ধন বন্ধ থাকবে।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশ টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিল।

এ দিকে যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন ১৩ লাখ ডোজের বেশি টিকার ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

এখন সরকার বিকল্প হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ভারতে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৪ লাখ ছাড়াল, মৃত্যুতেও রেকর্ড
Next post খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক
Close