Read Time:3 Minute, 38 Second

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তারেক শামসুর রেহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টে নিজের ফ্ল্যাট থেকে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

রাজউকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. মোজাফফর আহমেদ ড. তারেক শামসুর রেহমানের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সকালে তারেক শামসুর রহমানের বাসায় যান তার গৃহকর্মী। তিনি বাইরে থেকে কলিংবেল বাজাতে থাকলেও দরজা খুলছিল না। পরে গৃহকর্মী নিচে গিয়ে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীকে বিষয়টি জানান। এরপর আশপাশের সবাই ওই বাসার দরজায় গিয়ে তারেক শামসুর রেহমানকে ডাকাডাকি করলেও তার সাড়াশব্দ মেলেনি।

পরে বেলা ১১টার দিকে তুরাগ থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ বাসার দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সব ধরনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে পুলিশ।’

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য তারেক শামসুর রেহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ও বৈদেশিক নীতি এবং তুলনামূলক রাজনীতি নিয়ে তার একাধিক গ্রন্থ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রির অধিকারী অধ্যাপক রেহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি ড. রেহমান নিয়মিত কলাম লিখতেন। প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিকে তার কলাম নিয়মিত ছাপা হতো।

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইরাক যুদ্ধ পরবর্তী আন্তর্জাতিক রাজনীতি, গণতন্ত্রের শত্রু-মিত্র, নয়া বিশ্বব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বিশ্ব রাজনীতির চালচিত্র, উপআঞ্চলিক জোট, ট্রানজিট ইস্যু ও গ্যাস রফতানি প্রসঙ্গ, বাংলাদেশঃ রাষ্ট্র ও রাজনীতি, বাংলাদেশঃ রাজনীতির ২৫ বছর, বাংলাদেশঃ রাজনীতির চার দশক, গঙ্গার পানি চুক্তিঃ প্রেক্ষিত ও সম্ভাবনা, সোভিয়েত-বালাদেশ সম্পর্ক, বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর ইত্যাদি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post চিরনিদ্রায় কবরী
Next post শেষ দেখার সেই স্মৃতি আজও চোখে ভাসছে : ববিতা
Close