Read Time:3 Minute, 54 Second

বাংলাদেশের উপরে মিথেন গ্যাসের আস্তরণ শনাক্ত করেছে অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা। নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক ও ডেটাসেবা প্রদানকারী এবং মিডিয়া কোম্পানি ব্লুমবার্গ তাদের একটি প্রতিবেদনে এই গ্যাসকে ‘রহস্যময়’ বলে উল্লেখ করেছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের কোম্পানি কায়রোস এএএস চলতি বছর বাংলাদেশের উপরে ১২টি সর্বোচ্চ মিথেন নিঃসরণের হার শনাক্ত করেছে।

জিএইচসিএসএটি নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন জার্মেইন জানিয়েছেন, তারাও বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের ধোয়া শনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী টেকসই নির্গমন। এর উৎস সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না।’

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ডেটা বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ব্লুফিল্ড টেকনোলজিসও বাংলাদেশের উপরে এই গ্যাস শনাক্ত করেছে।

কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা যোতম এরিয়েল বলছেন, ‘আমাদের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মিথেন নিঃসরণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। এটা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখা যায়।’

বাংলাদেশের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন।

তিনি বলেন, ‘এটি সম্ভবত ধানখেত থেকে আসছে। যখন কৃষকেরা তাদের খেত সেচের পর ভাসিয়ে দেন, তখন জলাবদ্ধ মাটির ব্যাকটেরিয়া বিপুল পরিমাণ গ্যাস তৈরি করতে পারে। আরেকটা উৎস হচ্ছে ল্যান্ডফিল গ্যাস। আমরা এটি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’

যুক্তরাষ্ট্রে গবেষকেরা আগেই সতর্ক করে বলেছেন, মিথেন গ্যাসের ছড়িয়ে পড়ার হার যদি কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা না যায়, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ করার জন্য বর্তমানে যেসব লড়াই সংগ্রাম চলছে, তাতে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও গবেষক রবার্ট জ্যাকসন বলছেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকানোর জন্য বর্তমানে যেসব কর্মসূচি চালানো হচ্ছে তাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের ওপরেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। তবে আমরা যদি এখন এই মিথেন গ্যাসের দিকে নজর না দেই, তাহলে সেই ঝুঁকিটা থেকেই যাবে।’

মিথেনের গ্রিনহাউজ এফেক্ট বা বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও বেশি।

কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায়, মিথেন গ্যাস, বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা এক শতাব্দী কাল সময়ব্যাপী ৩০ গুণ বেশি ধরে রাখতে পারে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সিডনি প্রেস এ্যান্ড মিডিয়া কাউন্সিলের নির্বাচন ২০ জুন
Next post লস এঞ্জেলেসে ১৩ এপ্রিল রোজা
Close