Read Time:5 Minute, 46 Second

বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ‘বাংলাদেশ ডে প্যারেড’ বাংলাদেশ ইউনিটি ফেডারেশন অব লস এঞ্জেলেস (বাফলা)’র একটি সিগনেচার দিবস। তবে করোনার মধ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনে সংগঠনটি ভিন্ন এক কর্মসূচীর আয়োজন করেছে।

ইতিমেধ্যে উত্তর বঙ্গের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা প্রদান করেছে বাফলা। ১২০ জন মুক্তিযোদ্ধা এ সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

২০১০ সালে প্রবাসে দলমত নির্বিশেষে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করার লক্ষে বাংলদেশ ইউনিটি ফেডরেশন অফ লস এঞ্জেলসের জন্ম। ২২টি সংগঠনের সমন্বয়ে লস এঙ্গেলসের বুকে বাফলা কমিউনিটিতে উল্লেখযোগ্য কাজের মাধ্যমে সকলের একটি আস্থাভাজন এবং জনপ্রিয় ফেডারেশনে পরিনত হয়েছে। বাফলা সবসমই মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে দুদিনব্যাপী প্যারেড, সেমিনার, মেলা এবং জনপ্রিয় শিল্পী ও কলাকুশুলিদেরকে নিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে আসছে।

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক ও মেয়র, কউন্সিলমেন, কংগ্রেসমেন, পুলিশ ও শেরিফ ডিপার্টমেন্টের উর্দ্ধতন কর্মকতাদের অংশগ্রহণে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠান বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নব জাগরণের সৃষ্টি করে।

তবে করোনা নামের মহামারীতে সারা বিশ্ব আজ বন্দি। বাফলা এর মধ্যে ও গত বছর (২০২০) ভার্চুয়ালি দুদিনব্যাপী এক মনোজ্ঞ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আয়োজন করেছিল। বিশ্বের সকল বাংলা ভাষী মানুষ ১০ ঘন্টার অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।

সেই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী দিবস উদযাপনেও বাফলার ছিল বিশাল পরিকল্পনা। কিন্তু করোনার দুর্যোগের কারণে এবারও আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।

কিন্তু বাফলা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এবার ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভব হয়েছে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ভাই বোনদের আত্ম ত্যাগের মধ্য দিয়ে। তাই মাতৃভূমির ক্রমাগত উন্নয়নের সাফল্যে এবং মাতৃভূমির ৫০তম জন্মবার্ষিকীতে ১০টি এতিমখানায় বিশেষ দোয়া ও শিশুদের মধ্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়ে। কুষ্টিয়ায় স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে ১২০ জন মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। ১০ জন বিধবা মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীদের শাড়ি কাপড় উপহার দেওয়া হয় কৃতজ্ঞতা স্বরূপ।

বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলের এতিম খানায় দোয় ও খাবারের আয়োজন করা হয় তা হচ্ছে- সিলেট সদর, দায়িত্বে ছিলেন বাফলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ নাসির উদ্দিন জেবুল। ফেনী সদর, দায়িত্বে ছিলেন বাফলার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান শাহীন। খুলনা জেলা, দায়িত্বে ছিলেন বাফলার নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল (অব) ওমর হুদা। সাতক্ষিরা জেলার ৩টি এতিম খানার দায়িত্বে ছিলেন বাফলার নির্বাহী কর্মকর্তা আনিস রহমান। কুড়িগ্রাম জেলার দায়িত্বে ছিলেন বাফলার নির্বাহী কর্মকরতে মহম্মদ আহসান। বাগেরহাট জেলার দায়িত্বে ছিলেন, বাফলার বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাওলাদার এবং মানিকগঞ্জ জেলার দায়িত্বে ছিলেন বাফলার নির্বাহী সদস্য জনাব বাবুল হোসেন ।

কুষ্টিয়া জেলায় উত্তরবঙ্গের ১২০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে মধ্যাহ্ন ভোজ, সম্মাননা প্রদান ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রীদের মধ্যে শাড়ি বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন বাফলার বর্তমান কালচারেল সেক্রেটারি রৌশনী আলম এবং বাফলার নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ আলম।

এখানে উল্লেখ্য যে, বাফলা অতীতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ, আর্থিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং মোটা অংকের আর্থিক সাহায্য দিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

এছাড়াও বাংলাদেশের রাজশাহী, নওগাঁ, সাতক্ষিরা ও খুলনা অঞ্চলে বন্যায় সব হারিয়ে যাওয়া পরিবারের মধ্যে ৫০টি গৃহ নির্মাণ করে উদারতার পরিচয় দিয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post লস এঞ্জেলেসে বিজয় দিবসের কর্মসূচী
Next post দিদিকে দরজা দেখিয়ে দেবে রাজ্যবাসী: মোদি
Close