Read Time:5 Minute, 54 Second

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে নিজেদের মধ্যে শূন্যতা অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।

তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ শুধু একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি একজন কিংবদন্তি। তার দীর্ঘ জীবনে তিনি অনেক পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রতিটি পরিবর্তনেই তার মূল লক্ষ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দ্বিতীয় নামাজে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (মওদুদ) নিজেকে রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী হয়েছেন। প্রায় ৮১ বছর বয়সে তিনি আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তার এই চলে যাওয়া শুধুমাত্র বিএনপির জন্য নয়, সমগ্র দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল।

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আমাদের একজন অভিভাবক ছিলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আমাদের দল শূন্যতা অনুভব করছি। আজকে আপনারা সবাই দেখছেন এই বরেণ্য ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষ এসেছেন। তারা শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। আমরা পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে দোয়া করব- তিনি যেন তার সকল গুনাহ মাফ করে দিয়ে তাকে বেহেশত নসিব করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ আমান, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান সালাউদ্দিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম নীরব, মোরতাজুল করিম বাদরু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও ২০ দলের মধ্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী নয়াপল্টনের জানাজায় অংশ নেন। এদিকে মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশেপাশে দলের নেতাকর্মীরা শোক জানিয়ে ব্যানার টানিয়েছেন।

জানাজা শেষে মওদুদ আহমদের মরদেহবাহী কফিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের পক্ষে থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মওদুদ আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর বেলা ১০টার দিকে তার মরদেহ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়।

১৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন দেশের খ্যাতনামা আইনজীবী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তার মরদেহ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
Next post মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার
Close