Read Time:5 Minute, 3 Second

ডনাল্ড ট্রাম্পের শেষ তিন মাসের তুলনায় বাইডেন আমলে অভিবাসনদের ধর-পাকড় এবং বহিষ্কারের ঘটনা ৬০% কম। ইউএস ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)’র পক্ষ থেকে ৯ মার্চ তুলনামূলক এ তথ্য পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পরই কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের গ্রেফতার ও বহিষ্কারের বিরুদ্ধে জারিকৃত নির্বাহী আদেশ একটি কোর্ট আটকে দিলেও বাস্তবে অভিবাসী সমাজে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। এটি ছিল জো বাইডেনের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গিকার।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থাকে সংস্কারের অভিপ্রায়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইতিমধ্যেই একটি রোড-ম্যাপ উপস্থাপন করেছেন কংগ্রেসে। একইসাথে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক শান্তি-স্থিতির জন্যে হুমকি নন এমন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কোন অভিযান না চালানোর একটি নির্দেশও রয়েছে বাইডেনের পক্ষ থেকে।
সীমান্ত রক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর আইস কর্তৃক ধরা পড়লেও কাউকে সরাসরি বহিষ্কারের উদ্যোগ নিতে অবশ্যই নিকটস্থ উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। ঐ কর্মকর্তা খতিয়ে দেখবেন গ্রেফতারকৃত বিদেশী জাতির জন্যে হুমকিস্বরূপ কিনা। জননিরাপত্তার জন্যে হুমকি বিবেচিত হলেই গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে বহিষ্কার করা যাবে। এভাবেই অভিবাসনের দীর্ঘ ঐতিহ্যকে মানবিকতায় ফিরিয়ে আনার কৌশল নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

এসব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রিপাবলিকানরা ইতিমধ্যেই নানা অপপ্রচার শুরু করেছে। একইসাথে অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দও সমালোচনা করছে বাইডেনের। কারণ, নির্বাচনী অঙ্গিকারের পরিপূরক হিসেবে এখন পর্যন্ত ১১ মিলিয়ন কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে গ্রীণকার্ড প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হয়নি।

আরিজোনা এবং মন্টানা স্টেটের এটর্নী জেনারেলরা মঙ্গলবার আরিজেনায় ফেডারেল কোর্টে বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন নিয়ে ধীরে চলা নীতির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে, সামাজিক দুশমন হিসেবে চিহ্নিতরা অবাধে ঘোরাফেরা করায় শান্তি হুমকির মুখে পড়েছে। গুরুতর অপরাধের জন্যে জেলখাটা অভিবাসীরা বহিষ্কার না হলে সামাজিক শান্তি অটুট রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

স্মরণ করা যেতে পারে করোনার প্রকোপ মহামারিতে রূপ নিলে আইসের গ্রেফতার অভিযান হ্রাস পেয়েছিল। করোনা সংক্রমনের শংকায় ডিটেনশন সেন্টারও খালি করা হয় বেশ কটি স্থানে। এই অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করে ২৬০০ অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে। আগের মাসে সে সংখ্যা ছিল ৫৫৮৩। গত অক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে ৬৮০০ জনকে আইস গ্রেফতার করেছিল।

বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের ৭ সপ্তাহ অতিবাহিত হচ্ছে। এরইমধ্যে অভিবাসন ব্যবস্থাকে আমেরিকার চেতনার পথে ফিরিয়ে আনার অভিপ্রায়ে ট্রাম্প আমলের অনেক কিছু রদ করেছেন, বাতিল করেছেন। এসাইলাম থেকে রিফ্যুজি, ইন্টারন্যাশনাল স্টুৃডেন্ট থেকে বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রদানের রীতিও সহজ করেছেন।

উল্লেখ্য, করোনার অজুহাতে বিভিন্ন সেক্টরের ভিসা কার্যক্রম স্থগিত করায় বিপুল আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট না আসায় কয়েক বিলিয়ন ডলারের আয় থেকেও চরমভাবে বঞ্চিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post জাতিসংঘের সব দাপ্তরিক ভাষায় ৭ মার্চের ভাষণ বিষয়ক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
Next post বাইডেনের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ১২ অঙ্গরাজ‌্যে মামলা
Close