Read Time:5 Minute, 12 Second

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করা হয়েছে।

দূতাবাসের উদ্যোগে রোববার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। আলোচনা সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া এবং স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি, সাংবাদিক, ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, আমরা প্রত্যেকেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ থেকে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করার সাহস ও অনুপ্রেরণা পাই। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু এ দেশের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের নয়, এ ভাষণ বিশ্বের নানা প্রান্তের নিপীড়িত জনগণের মুক্তির গান। এ জন্যই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর একটি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক মফিদুল হক তার উপস্থাপনায় ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক পটভূমি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, বিশ্বপরিমণ্ডলে এই ভাষণের অবস্থান এবং ইউনেস্কো কর্তৃক এই ভাষণকে মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একটি নতুন ধারার জাতীয় মুক্তি আন্দোলন ও একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অনস্বীকার্য অবদান রেখেছে। ভাষাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তা, পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায় এবং সংঘাতের বিপরীতে সম্প্রীতির বিজয় অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে।

আলোচনা পর্বে বক্তরা বলেন, ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমেই মূলত দিশেহারা বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা পায়। এ ভাষণের পরেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করে। স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের অমিত শক্তির উৎস ছিল ঐতিহাসিক এই ভাষণ। আমাদের ইতিহাস ও জাতীয় জীবনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এক অপরিহার্য অধ্যায় যা আমাদের সবসময় প্রেরণা যোগাবে।

অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন
Next post জাতিসংঘের সব দাপ্তরিক ভাষায় ৭ মার্চের ভাষণ বিষয়ক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
Close