জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বৃহত্তর ঐক্য গড়ার কথা জানিয়েছেন গণফেরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, আপনারা সবাই জানেন আজ সমাজের কি অবস্থা। সব সমস্যা সংকট আকারে ধারণ করেছে। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের ঐক্যের প্রয়োজন। এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আমাদের লেগে থাকতে হবে, যাতে করে সরকার বাধ্য হয় এগুলো থেকে সরে দাঁড়াতে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে সুশাসন পাওয়া অসম্ভব। দেশে সুশাসন না থাকলে আমাদের সামনে যে কঠিন সমস্যাগুলো আছে তা থেকে উত্তরণ করা সম্ভব না।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে জনগণকে নিয়ে মাঠে নামার আহবান জানান ড. কামাল।
তিনি বলেন, এ সরকার দেশে যে অবস্থা তৈরি করছে যেখানে জনগণের চাওয়া, জনগণের কথা এসব সামনে না এনে এর উল্টোটা সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। যাতে করে মানুষ আরো বিভ্রান্ত হয়। এতে করে জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণ না হয়ে তার উল্টোটা হচ্ছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কার্যকর আছে বলেও জানান ড. কামাল হোসেন। গণফোরামের একাংশ দল থেকে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়ে ড. কামাল বলেন, কোনও দল থেকে কিছু লোক বেরিয়ে গিয়ে বিকল্প বক্তব্য রাখতে পারে, বিকল্প ভূমিকা রাখতে পারে। আমি মনে করি, আমাদের দল সঠিকভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের দল হিসেবে তাদের পাশে থাকবে। আর গণফোরাম দুইটা বলার কোন কারণ নেই। তারা কিছু লোক বেরিয়ে গেছে। তারা বের হতেই পারে। কাউকে তো বাধ্য করে রাখা যায় না। তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন, কেন দল ছেড়েছে। আর তারা যদি বোঝাতে পারে, আপনার সেভাবে বুঝবেন। আমার কথা হলো, যারা গণফোরাম করেছি, এখনও করে যাচ্ছি, তারা জনগণের ঐক্যের ওপর ভরসা করে মাঠে আছি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দেয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ডিজিটাল আইনের কথা বলে মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও চিন্তা-স্বাধীনতার ওপর যেভাবে আঘাত করা হচ্ছে, সেখানে থেকে আমাদের সমাজকে পুরোপুরিভাবে মুক্ত করতে হবে।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান এমপি বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসন এর মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিত করার স্বপ্ন নিয়ে জনগণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জনগণের কঙ্ক্ষিত লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে পারিনি। গত অর্ধ-শতাব্দীতে আমাদের অনেক অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, কিন্তু বৈষম্য কমেনি।
তিনি বলেন, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সামনে অগ্রসর হওয়া ছাড়া জনগণের আর কোন বিকল্প নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আওম শফিকুল্লাহ, অ্যাড. জানে আলম, অ্যাড. সুরাইয়া খান, মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।
More Stories
প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া বিএনপির চিঠিতে কী আছে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি চিঠি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়...
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস
২০২৫ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ জন শীর্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ...
কবি রফিক আজাদের বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘটনায় যা বলছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ
‘ভাত দে হারামজাদা/তা না হলে মানচিত্র খাবো’- জনপ্রিয় এই পঙক্তির স্রষ্টা, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত কবি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত...
লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় গিয়েছিলেন জামায়াত আমির!
জামায়াতে ইসলামী নেতাদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডনে সাক্ষাৎ হয়েছে। তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা...
‘সাবধান’ করে সতর্কবার্তা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (দক্ষিণাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজের...
টিউলিপের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি হতে পারে
রাজধানীর পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে...