Read Time:5 Minute, 35 Second

সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কোরিয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে “স্বাস্থ্য কথা” শীর্ষক একটি ওয়েবিনার ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে সে দেশে অবস্থানরত ইপিএস কর্মী ও অনান্য পেশাজীবিগণ অংশগ্রহণ করেন। দূতাবাস কর্তৃক স্বাস্থ্য সচেতনতা সংক্রান্ত ওয়েবিনার ছিল এই প্রথম।

ওয়েবিনারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, জাতীয় মানসিক স্থাস্থ্য ইন্সস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ হেলাল উদ্দীন আহমেদ এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মিজ ফারজানা শারমিন বক্তব্য রাখেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব মহোদয় তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যের প্রারম্ভে দক্ষিণ কোরিয়ায় মৃত্যুবরণকারী ইপিএস কর্মীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি ইপিএস কর্মীদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এধরণের একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করবার জন্য সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আজকের ওয়েবিনার স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠিত হলেও এর গুরুত্ব অনেক। তিনি আরও বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও জনবলের স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের কল্যাণ সাধনে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি প্রবাসী কর্মীদের যে কোন সমস্যায় মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন।

এরপর, ওয়েবিনারে ডাঃ হেলাল উদ্দীন আহমেদ দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি তথ্যসমৃদ্ধ উপস্থাপনা প্রদান করেন যেখানে তিনি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, শরীর চর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও সুস্থ বিনোদনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। সেই সাথে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস পরিহার করার পরামর্শ দেন।

পরবর্তী আলোচক মনোবিশ্লেষক মিজ ফারজানা শারমিন মত প্রকাশ করেন, মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত ইপিএস কর্মীদের মানসিক স্থিতির জন্য কাজের পাশাপাশি দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন ও নির্মল বিনোদনের ওপরে গুরুত্ব আরোপ করেন।

ওয়েবিনারের মুক্ত আলোচনা পর্বে প্রবাসী কর্মীগণ টেলিমেডিসিন সার্ভিসের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা পাবার দাবি উপস্থাপন করেন। সেইসাথে, তারা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি হটলাইন চালু করবারও অনুরোধ জানান।

ওয়েবিনারে সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের অকাল মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ১২ দিনে তিন জন বাংলাদেশি কর্মী আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সার্বিক সুস্থতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে পারলেই পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখা সম্ভব। তাই তিনি শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও ইপিএস কর্মীদের নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার অনুরোধ জানান এবং এ লক্ষ্যে যথেষ্ট বিশ্রামসহ সুষম খাদ্যাভাসের উপর জোর দেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার আহ্বান ডেমোক্র্যাটদের
Next post গ্রীসে ডিটেনশন সেন্টারে বাংলাদেশিদের উপর পাকিস্তানিদের হামলা
Close