Read Time:4 Minute, 18 Second

দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের চারজনের সনদ, সম্মাননা বাতিল হয়েছে এবং একই মিটিংয়ে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ আরো অনেকের নাম এসেছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত দালিলিক প্রমাণসহ। বঙ্গবন্ধু হত্যায় কার কী ভূমিকা ছিল, কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে, সেগুলো পেশ করার জন্য আমরা একটি উপকমিটি করেছি আগামী মিটিংয়ে পেশ করার জন্য। দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের যে সম্মানসূচক পদবি রয়েছে সেগুলো বাতিল করা হবে। সেটার নজির শুধু বাংলাদেশে নয়, বহির্বিশ্বেও রয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণে নয়’।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশ চলে যেতে সহযোগিতা করেছে, উচ্চ পদে পদায়ন করেছে জিয়াউর রহমান। দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে শাহ আজিজ, আব্দুল আলিমসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে নিজের মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল। খন্দকার মোশতাক, জিয়া তারা তো শাস্তি পায়নি, মৃত্যু হলে কোনো আইনে আদালতে শাস্তির রায় ঘোষণা হয় না। কারো মৃত্যু হলে সে যদি আসামি থাকে তবে আদালত তাকে বাদ দিয়ে অন্যদের ব্যাপারে রায় দেয়’।

তিনি বুধবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে কালামপুর রোডে কালিয়াকৈর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনের নামে নামকরণ ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘পৃথিবীতে বহু নজির রয়েছে যে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মানসূচক খেতাব বাতিল হয়েছে। জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুব আলম চাষিসহ এমন অনেকের নাম এসেছে, তাদের কী ভূমিকা? বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা কী? তার দালিলিক প্রমাণসহ পরবর্তী সভায় উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মঙ্গলবার শুধু আলোচনা হয়েছে, আমরা একটি উপকমিটি করে দিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা রিপোর্ট দেবে’।

কালিয়াকৈর পৌরসভার আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাবুদ্দিন আহসান।

উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ওহাব প্রমুখ।

পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ৪২টি সড়কের নামফলক উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হকের নামেও একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাতিল হচ্ছে জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব
Next post ভোট বিমুখতা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত: মাহবুব তালুকদার
Close