সারাদেশে শুরু হওয়া গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম দিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে টিকা নেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। এ তালিকায় ছিলেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
টিকা নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টিকা নেয়ার পর আগের মতোই আছি। সবার এ টিকা নেয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে টিকা গ্রহণ করতে হবে। এভাবেই করোনা মোকাবিলায় সফল হবে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, এসএসএফ মহাপরিচালকসহ সরকার প্রধানের কার্যালয়ের ১১ জন নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে টিকা নেন। টিকা নিয়ে এসএসএফ মহাপরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশের আগেই আমরা টিকা পেয়েছি এবং আমরা টিকা নিয়েছি, এটা একটা দারুণ ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, টিকা নেয়ার আগে যেমন ছিলাম তেমনই আছি কোনো সমস্যা নেই। তিনি সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে করোনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে বছরব্যাপী সমালোচনায় মুখর ব্যক্তিটিকেও টিকা নিতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী টিকা নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ভয়ের কিছু নেই। একই হাসপাতালে করোনা টিকা নেন প্রায় ৪০ জন বিচারপতি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে টিকা নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি টিকার জন্য দ্রুত নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, শেখ হসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে টিকা নিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসক এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন সচিব।
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামও কেরাণীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করে নিজেও টিকা নেন। পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়। ওই কেন্দ্রে প্রথমদিনে ৫২ জনকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এর পরিমান বাড়বে।
টিকা গ্রহণের আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করেছে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে জনগন তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অপপ্রচারকারীদের মিথ্যাচার ভুল প্রমাণিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, মহানগর জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আমরা এতো দ্রুত করোনার টিকা পেয়েছি। তিনিও সবাইকে এই টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন হাসপাতালে করোনার টিকা নেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলামসহ পুলিশ কর্মকর্তারা। এছাড়া, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
More Stories
শাহজাহান ওমরের হুংকার, ‘আমি আবারও এমপি-মন্ত্রী হব’
গ্রেপ্তারের পর ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর হুংকার দিয়ে বলেছেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, এসব মামলা আমার...
মুহাম্মদ ইউনূসকে যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন : শফিক রেহমান
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান। তিনি বলেন, “তাকে...
বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে সেগুলোর বিচার শেষে দলটিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে বলে...
সেনাকুঞ্জে হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া
ছয় বছর পর প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা গেল হাস্যাজ্জ্বল খালেদা জিয়াকে। সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশের আসনে...
শেখ হাসিনাকে ফেরানোর নির্দেশনা নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌফিক হাসান বলেছেন, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে দুই দেশের বৈঠকে আলোচনার সুযোগ...
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ...