Read Time:5 Minute, 1 Second

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক শপথের মাধ্যমে হোয়াইট হাউজে উঠবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু তার আগেই মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার জেরে আবারও অভিশংসিত হলেন ট্রাম্প।

বুধবার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোররাত) যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি দ্বিতীয়বার অভিশংসিত হলেন।

কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের সদস্যরা ২৩২-১৯৭ ভোটে ট্রাম্পকে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত দেন। ডেমোক্র্যাটদের আনা এই প্রস্তাবে ১০ জন রিপাবলিকান নেতাও ভোট দিয়েছেন। সহিংস বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার জন্য দায়ী করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব পাস হয়।
এখন কী হবে ট্রাম্পের?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত করার পর তার ভাগ্যে এখন কী ঘটবে তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এ প্রশ্ন এসেছে এজন্য যে, ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ আছে আর মাত্র ছয়দিন। আগামী ২০ জানুয়ারি নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। এই সময়ের মধ্যে কী তাকে সিনেটে অভিশংসন করার মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে চূড়ান্তভাবে বিদায় করা যাবে? সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন তা হচ্ছে- সিনেটে ভোটাভুটি কবে হবে?

ট্রাম্পের ভাগ্য এখন ঝুলে আছে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের হাতে। প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসনের ভোটাভুটি সম্পন্ন হওয়ার পর তা অনুমোদন দিয়ে সিনেটে পাঠাতে হয়। অভিশংসনের বিষয়টি সিনেটে পৌঁছানোর পরপরই সেখানে তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।

এই ধারা অনুসরণ করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ শিগগিরই সিনেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাবে। সিনেট অধিবেশন ডাকা হলে ট্রাম্পের বিচার হতে বাধ্য, কোনও বিকল্প নেই।

এই মুহূর্তে সিনেটের অধিবেশন আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মূলতবি রয়েছে। সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ মাককোনেলের দফতর থেকে বুধবার জানানো হয়েছে যে, জরুরি অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে সিনেটের সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমারের একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। চাক শুমার অনুরোধ করেছিলেন যে, অভিশংসনের বিষয়টি ‘জরুরি’ বিবেচনা করে যেন সিনেট নেতা মিচ ম্যাককোনেল অধিবেশন আহ্বান করেন।

প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার পর এক বিবৃতিতে মিচ ম্যাককোনেল জানিয়েছেন, বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিনেট কোনও ব্যবস্থা নেবে না। ফলে ট্রাম্প হয়ত তার ক্ষমতার শেষ দিনগুলো হোয়াইট হাউজেই কাটাতে পারবেন। তবে তার জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে- সিনেটে একবার অভিশংসনের প্রস্তাব পৌঁছালে তা নিয়ে ভোটাভুটি করতে বাধ্য। ফলে ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরও তিনি সিনেটে অভিশংসনের মুখে পড়বেন। যদি সিনেটে তিনি অভিশংসিত হন তাহলে তিনি আর কখনও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন না। ট্রাম্প বেশ কয়েকবার বলেছেন, ২০২৪ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তাতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ইতালিতে করোনার টিকা নিলেন দুই বাংলাদেশি
Next post ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করল নিউইয়র্ক সিটি
Close