Read Time:3 Minute, 3 Second

গত ১৯ নভেম্বর ২০২০, ৭০তম সভায় আমার গেজেট করণের দাবি চূড়ান্ত ভাবে অনুমোদিত হয়েছে। বিজয়ের মাসে এ এক দারুণ বিজয়। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, একজন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা (ভারতীয় তালিকভুক্ত এফএফনং M-৫০৮০ ৭নং সেক্টর) হয়েও এবং শত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এই অনুমোদন পেতে ১৩ বছর সময় লেগেছে। যা শুধু দুঃখজনকই নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য অপমানেরও। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি হীনমন্যতা।

আমরা মুক্তিযোদ্ধারা একটা সর্বাত্মক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মহাসমরে অপরিসীম শৌর্য ত্যাগ ও বীরত্ব দিয়ে পৃথিবীর বুকে একটা স্বাধীন, সার্বভৌম, গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছি। একটা জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতিসত্তা উপহার দিয়েছি। আমাদের সেই ঐতিহাসিক অবদানের স্বীকৃতি আমাদের জাতীয় সংবিধান, রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার ও সরকারি নীতিমালায় থাকবে না, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে না, এটা কী করে হয়? আমরা দেশটি স্বাধীন করেছিলাম বলেই বাঙালিরা স্বপ্নেও যা কল্পনা করেনি তাই হচ্ছেন। তারা আজ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, এমপি, সমরপ্রধান, সচিব, বড় শিল্পপতি, বড় ব্যবসায়ী প্রভৃতি হচ্ছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখানে যে, যাদের বৌদলতে, বলা চলে অবদানের কারণে সমাজ-রাষ্ট্রের উপরোক্ত স্তরে যারা উঠে আসছেন, তারা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি একধরণের হীনমন্যতায় ভোগেন!

তাদের কৃত-ঐতিহাসিক অবদানের স্বীকৃতি দিতে যেনো তাদের আঁতে ঘা লাগে! আমাদের অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা সমাজের দরিদ্র মানুষ বলে তাদের প্রতি একধরণের হিংসায় ভোগেন!

বিষয়টি এমন যে- দরিদ্ররা আবার কিসের সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হবে? আসলে এটা হলো পরশ্রীকাতরতা। তাদের সৃষ্ট দেশের ক্ষমতা ভোগ করবো, ক্ষমতা খাটিয়ে লুটপাট করে দেশ-বিদেশে সম্পদ কুক্ষিগত করবো কিন্তু তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিবো না! এটাই হলো চরমতম অকৃতজ্ঞতা।

 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post করোনার ক্রান্তিকালে মানবতার সেবায় আনন্দ মেলা
Next post ফ্লোরিডা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহির, সেক্রেটারি আশরাফ
Close