Read Time:4 Minute, 26 Second

সৌদি আরবের জারি করা নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির জেদ্দা, রিয়াদ ও দাম্মামগামী সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি আরব সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রদান করায় আজ সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য জেদ্দা, রিয়াদ ও দাম্মামগামী বাংলাদেশ বিমানের সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাতিলকৃত ফ্লাইটসমূহের যাত্রীগণকে ফ্লাইট পুনরায় চালুর পর আসন খালি সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ করা হবে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্কতা হিসেবে আগামী এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। দেশটির নাগরিক ও অভিবাসীদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখে গতকাল রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া স্থল ও সমুদ্র বন্দরের সকল প্রবেশও বন্ধ করা হয়েছে। গালফ নিউজ, এএফপিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএর খবরে বলা হয়েছে, ‘এক সপ্তাহের জন্য বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করা হলো। বন্ধের সময়সীমা পরবর্তী সপ্তাহেও বাড়ানো হতে পারে। স্থল ও সমুদ্র বন্দরেও এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রবেশ বন্ধ থাকবে। পরবর্তী সপ্তাহেও এই নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হতে পারে।’

খবরে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানকারী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। ফ্লাইটগুলো সৌদি ছেড়ে যেতে পারবে।

করোনাভাইরাসের অধিক সংক্রামক নতুন একটি ধরন যুক্তরাজ্যে পাওয়ার পর রোববার ইউরোপের একাধিক দেশ যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আরও কিছু দেশ নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, নতুন এই ধরনটি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’

এসপিএ জানিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ইউরোপ অথবা করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে এমন যেকোনো দেশ থেকে যেসব যাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছিয়েছে তাদের সবাইকে স্বেচ্ছায় আলাদা থাকতে হবে এবং পরীক্ষা করাতে হবে। এদিকে, সৌদি আরবের প্রতিবেশী দেশ কুয়েতও রোববার ব্রিটিশ ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

গত সপ্তাহে সৌদিতে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন পৌঁছানোর পর তিন ধাপ বিশিষ্ট করোনাভাইরাস টিকাদান প্রকল্প শুরু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬১ হাজারের বেশি লোক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬ হাজারেরও বেশি। উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌদিতেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে সেখানে সুস্থতার হারও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post নতুন নির্বাচনের দাবিতে ৩০শে ডিসেম্বর বিএনপির বিক্ষোভ
Next post বিদেশে ‘প্রবাসী টাইগারদের’ জয়
Close