Read Time:5 Minute, 34 Second

নাইজেরিয়ার আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত বছরব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা‘ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) আবুজার বাংলাদেশ দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

আলোচনায় আবুজা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আবুজা ট্রেড সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. সোমাডিনা আনেনে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব, ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মি. বিদোষ চন্দ্র বর্মন, নাইজেরিয়ান-বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন হামিদু উসমান জাফেজি, নাইজেরিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট মি. বব এম আচানিয়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন, যার অধিকাংশই চেম্বার নেতা, সিইও, উদ্যোক্তা ও সাংবাদিক।

উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিদোষ চন্দ্র বর্মন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষা ছিল সমতাভিত্তিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে প্রতিটি দেশের নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর তাদের সার্বভৌম অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব নেতাদের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক সঙ্কট দূর করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অধিকার, সমঝোতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও শুল্ক ব্যবস্থার ওপর বঙ্গবন্ধুর ভাবনা বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু এমন এক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা চেয়েছিলেন যেখানে উন্নত বিশ্বের গৃহীত নীতির কারণে যেন উন্নয়নশীল বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি না হয়। বঙ্গবন্ধু এমন বিশ্ব চাননি যেখানে বেশির ভাগ মানুষ দুর্ভোগে জীবন কাটাবে আর মুষ্টিমেয় মানুষের থাকবে সম্পদের প্রাচুর্য।

ড. সোমাডিনা আনেনে প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেননি আফ্রিকাসহ পুরো বিশ্বের নির্যাতিত ও বঞ্চিত জনগণের সংগ্রামকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মানবজাতির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ন্যায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চেয়েছিলেন। বাংলাদেশ-নাইজেরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর বলতে গিয়ে আবুজা চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, বিনিয়োগকারী ও আমদানিকারকদের জন্য বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়া উভয়ই সম্ভাবনাময় দেশ। প্রসঙ্গক্রমে তিনি আবুজা চেম্বার ও কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বাংলাদেশের উপযুক্ত একটি চেম্বারের সমঝোতা স্মারক সইয়ের গুরুত্বারোপও করেন।

সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে মি. আনেনে বলেন, বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়া কৃষি, টেক্সটাইল, ট্রান্সপোর্ট ও আইসিটিতে পাস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারে।

সবশেষে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার প্রধান অতিথিকে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে নাইজেরিয়া সরকার প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট হস্তান্তর করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অতিথি অংশগ্রহণ করেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ডেনমার্কের নতুন আইনে সম্মতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ
Next post লন্ডন হাইকমিশনে ‘মুজিববর্ষ বিজয় দিবস’ উদযাপন
Close