Read Time:4 Minute, 21 Second

করোনার অজুহাত এবং আমেরিকানদের স্বার্থ সংরক্ষণের দোহাই দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারিকৃত আরেকটি বিধি ১লা ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাতিলের নির্দেশ দিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল জজ জেফরী হোয়াইট। এইচ-১বি ভিসা অর্থাৎ উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার কোটা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, যারাও এই ভিসা পাবার যোগ্য হবেন তাদেরকে অনেক বেশী বেতন-ভাতার নির্দেশও জারি করেন ট্রাম্প।

এর আগেরদিন নিউইয়র্কের ফেডারেল কোর্ট অপর এক রায়ে সীমান্ত অতিক্রমের সময় কিংবা আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীরা গ্রেফতারের ১০ দিনের মধ্যে অবশ্যই কোর্টে সোপর্দের নির্দেশ দিয়েছেন। এটিও ট্রাম্পের অভিবাসন-বিরোধী পদক্ষেপের বিপক্ষে গেছে। কারণ, গ্রেফতারের পর মাসের পর মাস ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখার পন্থা অবলম্বন করা হয় ট্রাম্পের আমলে।

ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল কোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেসব কারণ প্রদর্শন করা হয়েছে এইচ-১বি ভিসা নীতি সংকুচিত ও কঠোর করতে, সেগুলোর ব্যাপারে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী জনমত যাচাই করা হয়নি। এছাড়া, তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টরসহ বৃহৎ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে পরিচালিত কল-কারখানার জন্যে যে ধরনের কর্মকর্তা/প্রকৌশলী দরকার তা যুক্তরাষ্ট্রে খুব কম রয়েছেন। এরফলে বিদেশ থেকে নিয়োগের বিকল্প নেই। এমন যুক্তির সমর্থনে প্রয়োজনীয় বিবরণ-প্রশানপত্র সাবমিট করেছিলেন কর্পোরেশনগুলোর আইনজীবীরা। দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীর অভাবে কীভাবে লোকসানের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে কর্পোরেশনগুলো-সে তথ্যও সবিস্তারে উপস্থাপন করা হয় আদালতে। আদালতের মন্তব্যে আরো প্রকাশ পেয়েছে যে, করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবার অজুহাতও সঠিক নয়।
মামলার বাদি ‘দ্য ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাক্চারার্স’র আইনজীবীরা আদালতে জানান যে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে কল-কারখানায় উৎপাদন পুরোদমে শুরুর বিকল্প নেই। এ অবস্থায় যদি দক্ষ কর্মীর সংকট অব্যাহত থাকে, তাহলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। ইতিমধ্যেই তেমন নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এই সেক্টরে-যার পরিণতি গোটা জনগোষ্ঠিকে ভোগ করতে হচ্ছে। এই রুলিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত এপ্রিলে ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’ স্লোগানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জারিকৃত নির্বাহী আদেশ স্থগিত হয়ে গেল। ঐ আদেশের ফলে এইচ-১বি, এইচ-১বিওয়ান এবং ই-থ্রি ভিসার ওপর সকল বিধি বাতিল হলো। এসব ভিসায় সাধারণত: প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পে বিদেশী দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারিরা অস্থায়ী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। আদালতের এ রায় আগামী সোমবার থেকেই কার্যকর হবে বলে আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ৩০তম নিউইয়র্ক বইমেলার আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুননবী
Next post ফোবানা নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় মাসুদ চৌধুরীকে অভিনন্দন
Close