Read Time:4 Minute, 1 Second

পরাজয় স্বীকার করতে না চাইলেও হোয়াইট হাউজ থেকে ট্রাম্পের বিদায় একরকম পাকা। কিন্তু জো বাইডেন এলেই যে চঅন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মূলস্রোতে ফিরবে, এই চিন্তা-ভাবনা কাটিয়ে ওঠা উচিত। আমেরিকায় ক্ষমতাবদল নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব উৎসুক, সেই সময় শি জিনপিংয়ের সরকারকে এমনই পরামর্শ দিলেন সে দেশের কূটনীতিবিদ তথা সরকারি উপদেষ্টা ঝেং ইয়ংনিয়ান। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

তার মতে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর আমেরিকা ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। শেনঝেন প্রদেশের অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল কনটেম্পোরারি চায়না স্টাডিজের ডিন ঝেং। দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক কৌশলের রূপরেখা তৈরি করতে গত আগস্ট মাসে তাকে উপদেষ্টা নিয়োগ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং। আমেরিকার রাজনৈতিক রদবদল এবং দুই দেশের সম্পর্কে তার কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে গুয়াংঝৌ-তে সম্প্রতি একটি আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি। সেখানেই বাইডেন সম্পর্কে জিনপিং সরকারকে সতর্ক করে দেন ঝেং।

ঝেং বলেন, ‘পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই। ঠাণ্ডা যুদ্ধের ঘোর এখনও কাটেনি ওদের। রাতারাতি তা কাটবেও না। আমেরিকার সমাজ দ্বিধাবিভক্ত। বাইডেন কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না আমার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুর্বল উনি। তাই অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে না পারলে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেই নজর পড়বে বাইডেনের। সে ক্ষেত্রে চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারেন তিনি। অনেকে হয়তো বলবেন, ট্রাম্প গণতন্ত্র এবং বাক স্বাধীনতার বিরোধী। বাইডেন নন। কিন্তু আমার মতে, ট্রাম্প যুদ্ধে আগ্রহী নন। কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ বাধিয়ে ফেলতে পারেন।’
উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক বা বাণিজ্য শুল্ক অথবা করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামাল দেয়া, গত কয়েক বছরে একাধিক বিষয় আমেরিকা ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হংকংয়ে চীনের আধিপত্য বিস্তার এবং লাদাখ সীমান্তে চীনা সেনার আগ্রাসন নিয়েও সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গেছে আমেরিকাকে।

সাম্প্রতিক কালে মার্কিন কংগ্রেসে চীনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে ৩০০-র বেশি বিল জমা পড়েছে। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন চীনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে দেখা যায় বাইডেনকেও। জিনপিংকে তিনি ‘গুন্ডা’ বলে উল্লেখ করেন। তাই ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে চলে গেলেও, আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ক আদৌ স্বাভাবিক হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহল।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ৭০ শতাংশ কার্যকর অক্সফোর্ডের টিকা
Next post জার্মানিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি ছাত্র নিহত
Close