Read Time:3 Minute, 0 Second

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ঘুষবিরোধী ব্যবসায়িক সংগঠন ট্রেসের প্রতিবেদনে ঘুষ লেনদেনে বিশ্বের ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এ বছর ১৬৬ নম্বরে। আগের বছরের ১৭৮তম স্থান থেকে এবার উন্নতি হলেও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সেই ঝুঁকির শীর্ষেই থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

‘ট্রেস ব্রাইবারি রিস্ক মেট্রিক্স’ শিরোনামে ট্রেস ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ঘুষের প্রবণতা নিয়ে প্রতিবছর এই সূচক তৈরি করে। যেসব দেশে ঘুষের ঝুঁকি বেশি, তালিকায় সেসব দেশের পয়েন্টও বেশি।

দক্ষিণ এশিয়ার ভেতর সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভুটান, ৪৮ নম্বরে। তারপর ভারত ৭৭। মালদ্বীপের অবস্থান ৮৫তম, শ্রীলঙ্কা ৮৭, নেপাল ১০৭, চীন ১২৬, পাকিস্তান ১৫৩ এবং আফগানিস্তান ১৭১ নম্বরে।

বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রে ঘুষের ঝুঁকির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আরো বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্যের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে প্রথম এ সূচক প্রকাশ করা হয়। কোনো বিশেষ দেশে কোম্পানির কাছে ঘুষ চাওয়া হবে কিনা বা ঘুষের সম্মুখীন হতে হবে কিনা তা এ সূচকের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।

এ বছরের ডেটা অনুসারে, বাংলাদেশের সার্বিক ঝুঁকির স্কোর ৬৬। আগের বছর ছিল ৭২।

গত বছরের তালিকায় ২০০ দেশ থাকলেও এবার দেখা গেছে ১৯৪টি। সবচেয়ে বেশি ঘুষ লেনদেন হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়।

ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ডে ঘুষের কারবার সবচেয়ে কম।

প্রত্যেক দেশের ঘুষের ঝুঁকি পরিমাপ করা হয়েছে চারটি ক্ষেত্র বিবেচনায়: সুযোগ, প্রতিবন্ধকতা, স্বচ্ছতা ও তদারকি।

প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে আবার বেশ কিছু বিষয়। সুযোগ পরিমাপের জন্য রয়েছে তিনটি বিষয়-মিথস্ক্রিয়া, প্রত্যাশা ও সুবিধায়ন। ঘুষবিরোধী কার্যক্রম ও সামাজিক সচেতনতা পরিমাপ করা হয় প্রতিবন্ধকতা ক্ষেত্রটির আওতায়। স্বচ্ছতা পরিমাপ করা হয় প্রক্রিয়া ও স্বার্থের মাধ্যমে। আর তদারকির বিষয়টি মুক্ত গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের সক্রিয়তার ওপর নির্ভর করে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বয়স্কদের জন্য আশার আলো অক্সফোর্ডের টিকা
Next post অস্ট্রেলিয়ায় জেলে বসেই আরেকজনকে কোপালেন সেই মোমেনা সোমা
Close