Read Time:5 Minute, 20 Second

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার রেকর্ড সংখ্যক নারী প্রার্থী হয়েছেন, যারা বিজয়ী হলে ইতিহাস গড়বেন। ৫৩৫ আসনের জন্য ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের ৩১৭ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ১১৭ জন নানা বর্ণের নারী অর্থাৎ যারা সাদা নন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

আজকের নির্বাচনে এই নারীদের সবাই নির্বাচিত হলে তা যেমন একদিকে হবে রেকর্ড, অন্যদিকে জাতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ২৫৭ জন নারী অংশ নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন।

এখন পর্যন্ত আমেরিকার ৫৩৫ সিনেট সদস্যদের মধ্যে নানা বর্ণের নারী আছেন মাত্র ৪৮ জন। আর কংগ্রেসে মোট নারী রয়েছেন ১২৭ জন।

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে মোট ১১৭ জন কৃষ্ণাঙ্গ ও বাদামী ত্বকের নারী প্রার্থী হয়েছেন। দুই বছর আগের মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিউইয়র্ক থেকে আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ আর মিনেসোটা থেকে ইলহান ওমারের মত নারীরা বিজয়ী হন। এবারের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক নানা বর্ণের নারীদের প্রার্থীতার পেছনে তাদের এই বিজয় অনেকটাই অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। ওকাসিও-কর্টেজ ও ২০১৮ সালে কংগ্রেসে বিজয়ী অনন্যা প্রেজলির এবারও নির্বাচিত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।

এবার মিসৌরি থেকে কোরি বুশ নামের একজন নার্স ও অ্যাক্টিভিস্টের জয়ের সম্ভাবনা আছে। কোরি বুশ ২০১৪ সালে ফার্গুসনে পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। কংগ্রেসে বিজয়ী হলে মিসৌরি থেকে নির্বাচিত প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হবেন কোরি বুশ।

তোমাদের স্বামীদের কাজে ফেরাব, নারীদের উদ্দেশে ট্রাম্প
ল্যাটিনো ও ন্যাটিভ আমেরিকান জনসংখ্যা অধ্যুষিত নিউ মেক্সিকোর টেরেসা লেজার ফার্নান্দেজ ২০১৮ সালে নির্বাচিত আরেক ন্যাটিভ আমেরিকান নারী ডেব হালান্ডের সঙ্গে যোগ দেবেন। হালান্ড এবং লেজার ফার্নান্দেজ উভয়েই প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট যাদের সামনে এনেছেন এলিজাবেথ ওয়ারেন ও ওকাসিও-কর্টেজের মত রাজনীতিবিদরা।

টেক্সাস, যেখানে জো বাইডেন জিতবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে সেখানে ক্যানডেস ভ্যালেনজুয়েলা কংগ্রেস সদস্য হিসেবে জয়ী হতে পারেন। তিনি যে ডিস্ট্রিক্ট থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেখান ২০০৫ সাল থেকে রিপাবলিকানরাই জেতে। টেক্সাসের ২৪তম ডিস্ট্রিক্টে নির্বাচিত হলে ভ্যালেনজুয়েলা হবেন প্রথম নির্বাচিত কৃষ্ণাঙ্গ লাতিন নারী। গত অক্টোবরে ভ্যালেনজুয়েলা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘সময় এসেছে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা যেন তাদের সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। যেহেতু আমরা দেখছি প্রচুর নারী বিশেষত নানা বর্ণের নারীরা নির্বাচনে জয়ী হচ্ছেন, তাই আমরা আশা করতে পারি যে তারা শ্রমজীবী পরিবারের চাহিদার দিকে মনোযোগী হবেন’। এছাড়া আরাকানসাসের জয়েস এলিয়ট বিজয়ী হলে রাজ্যের কংগ্রেশনাল জেলায় তিনিই হবেন প্রথম নির্বাচিত কৃষ্ণাঙ্গ।

স্বামীদের কাজে ফেরানোর কথা দিয়ে নারীভোট হারাবেন ট্রাম্প!
উল্লেখ্য, চলতি নির্বাচনে বেশিরভাগ নারীই ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী। অন্যদিকে ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায় রিপাবলিকান শিবিরেও বেড়েছে নারী প্রার্থীর সংখ্যা। এটা যুক্তরাষ্ট্রে নারী ক্ষমতায়নের পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার চিত্র বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ‘এগিয়ে থাকার আভাস পেলেই নিজেকে জয়ী ঘোষণার পরিকল্পনা ট্রাম্পের’
Next post ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য ভারতে পূজা
Close