বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছাড়া কেউই রক্ষা পাবে না। গণতন্ত্রকে, সাংবাদিকতা কাউকেই রক্ষা করা যাবে না, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও রক্ষা করা যাবে না। অবস্থা বদলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। বদলে দেওয়ার একটাই পথ। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ সরকারকে সরাতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনই হচ্ছে তার একমাত্র পথ।
শনিবার মুক্ত সাংবাদিক অন্তর্ধান দিবস উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে (একাংশ) উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে যদি মুক্তি পেতে একটা ঐক্য সৃষ্টি করেই তাদেরকে এগুতে হবে। এর জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলোকে একখানে আসতে হবে এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। পারস্পরিক সমস্যাগুলোকে দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের কোনোরকমের মূল্যবোধ নেই। আওয়ামী লীগ তো গণতন্ত্রই বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসাথে যায় না, কখনোই যায় না। ওদের যে রসায়ন তার মধ্যে গণতন্ত্র হয় না। ওদের ভাবটাই হচ্ছে যে, আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আমি একমাত্র দেশকে নিয়ন্ত্রণ করবো, আমি দেশ চালাবো, আমি সব কিছু।
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা নিসন্দেহে সবচেয়ে খারাপ সময়, সবচেয়ে কঠিন সময়। ভয়-ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে এমন একটা অবস্থা তৈরি করে ফেলা হয়েছে যে- আজকে কেউ লিখতে কিংবা বলতে সাহস করছে না। যত সাংবাদিক এখন বেকার আছেন, এতো বেকার কখনো ছিলো না। পঁচাত্তর সালের মতো সরকারের কথা যারা বলবে, তাদের পক্ষে যারা থাকবে তাদের পত্রিকা চলবে, তাদের চ্যানেল চলবে, তাদের গণমাধ্যমগুলো চলবে। অন্য যারা আছে তাদেরগুলো তারা চলতে দেবে না।
তিনি বলেন, অনেকের চাকরি নেই, অনেকে জেল-জুলুমের মামলার মধ্যে পড়েছেন। সাগর-রুনি থেকে শুরু করে অনেকে খুন হয়ে গেছেন, অনেকে গুম হয়ে গেছেন, অনেককে হত্যা করা হয়েছে। তারপরেও সাংবাদিকদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কারণ মুক্ত সাংবাদিকতা বা মুক্ত সংবাদমাধ্যম না থাকলে গণতন্ত্র কখনোই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পারোয়ার, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের বাকের হোসাইন, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, নুরুল আমিন রোকন, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী, ফটো জার্ণালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন বক্তব্য দেন।
More Stories
সরিয়ে দেওয়া হলো আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসানকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।...
ট্রাইব্যুনালে জিয়া বললেন ‘আমি আয়নাঘরে চাকরি করিনি’
এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। আজ বুধবার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন তিনি।...
অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন: রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রাখা হয়নি
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’এর খসড়ায় সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশের যে বিধান প্রস্তাব করা...
পার্লামেন্ট ছাড়া কারও সংবিধান সংশোধনের অধিকার নেই: হাসান আরিফ
কোনো সরকারের অধিকার নেই সংবিধান সংশোধন করার। এটা একমাত্র পার্লামেন্ট করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ...
ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পরবর্তী রাউন্ডে যোগ দিতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি...
আগামী মার্চ-এপ্রিলেই নির্বাচন দিতে হবে : এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা নয়। জনগণ দ্রুত...