Read Time:3 Minute, 22 Second

হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে শনিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা হিসেবে পরিচিত আল-জামিয়াতুল তাহলিমা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসা প্রাঙ্গণের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে বাদ জোহর হাজারো ভক্ত-অনুসারী ও হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আল্লামা শফীর জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে ইমামতি করেন তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ মাদানী।

আল্লামা শফীর জানাজায় অংশ নিতে এবং তাকে শেষবারের মতো দেখতে লাখো মানুষের ঢল নামে হাটহাজারী এলাকায়। তারা শুক্রবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসতে থাকেন।

জানাজা শেষে মাদরাসা প্রাঙ্গণে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে আল্লামা শফীকে দাফন করা হয়।

জানাজায় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ উপস্থিত ছিলেন।

মাদরাসার ভেতরে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ভিড়ের কারণে লাশ বহনকারী কফিন মাদরাসা মাঠ থেকে স্থানীয় ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই জানাজা পরিচালিত হয়।

এর আগে, সকাল ১০টার দিকে আল্লামা শফীর লাশবাহী গাড়ি মাদরাসা প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়।

আল্লামা শফী শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

উল্লেখ, গত বুধবার থেকে হাটহাজারী মাদরাসায় ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়। তাদের দাবির মুখে বুধবার রাতে মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শফীর ছেলে ও মাদরাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানীকে মাদরাসা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পর দিনও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে মাদরাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আন্দোলনরত ছাত্রদের বিক্ষোভ বন্ধ না হলে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মহাপরিচালক আল্লামা শফী নিজেই তার পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন।

এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ফোবানা সম্মেলন ভার্চুয়ালে ২৮-২৯ নভেম্বর
Next post যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে নিহত ২, আহত ১৪
Close