Read Time:4 Minute, 22 Second

 

ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে হত্যা চেষ্টায় হাতুড়ি পেটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর হোসেন ও আসাদুল হকের পরিচয় পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল হক ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সদস্য। আর জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক।

সূত্রে জানা যায়, হামলা, চাঁদাবাজি, মাদকসেবনসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের ছাড়াও অতীতে যুবলীগে তাদের নামে একাধিক অভিযোগও করা হয়েছে। আসাদুল ও জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত। এছাড়া চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু অভিযোগ এনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা যুবলীগের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তাদের দুজনেরই বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলায়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসাদুলের বাবা একজন জুতার দোকানি। তবে আসাদুল ওসমানপুরে সিএনজি অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করতো।

হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র‌্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল হককে আটক করে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নিরুপ সাহা জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে জেলা যুবলীগের কাছে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি।

আসাদুলকে গ্রেপ্তার করা একই টিম জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম।

বুধবার (২ সেপ্টম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

ওয়াহিদা খানম বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। অস্ত্রোপচার সফল হলেও ইউএনও ওয়াহিদা আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউএনও ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। রাত সোয়া ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাফলা ও রামপট ভিলেজ নেবারহুড কাউন্সিলের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং
Next post খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে
Close