Read Time:3 Minute, 26 Second

কানাডার বিভিন্ন স্থানে পালিত হয়েছে ঈদ-উল-আজহা। প্রবাসী বাঙালিরা এ বছর ব্যতিক্রমী উদ্যোগে বিভিন্ন ভাবে পালন করে এবারের ঈদ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে মিলিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন একে অপরের সাথে ।

কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশিরা সাধারণত ঈদের নামাজ শেষে চলে যান কোরবানি দিতে। কিন্তু এবছর ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। কোভিড-১৯’র কারনে প্রবাসীরা অনেকেই ঘরে ভার্চুয়ালি নামাজ আদায় করেন। শুক্রবার (৩১ জুলাই) কানাডায় কর্মময় দিবস থাকায় অনেকেই ঘরে নামাজ পড়ে অফিসে চলে যান।

কানাডায় নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেয়া বাধ্যতামূলক। নির্ধারিত ফার্মগুলোতেই কোরবানি দিয়েছেন প্রবাসীরা। ঈদের দিনে কারও কারওও কর্ম দিবস থাকায় খুব ভোরে নতুন পোশাক পরে অনেকেই আগেই বের হয়ে পড়েন ঈদের নামাজ আদায় করতে। প্রবাসী বাঙালিদের নিজস্ব মসজিদ ছাড়াও বিভিন্ন কমিউনিটির মসজিদে প্রবাসীরা নামাজ আদায় করেন। কানাডার বিভিন্ন মসজিদে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদে নামাজ শেষে প্রবাসীরা পরিবার পরিজন নিয়ে বের হন। ঘুরতে যান স্বল্প পরিসরে বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের বাসায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবাই একত্রিত হয়ে মেতে ওঠেন নানা গল্প আর আড্ডায়। উঠে আসে ঈদ আনন্দের সাথে কোভিড-১৯’র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি। দেশের বর্তমান অবস্থা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয়।

ক্যালগেরির মতই অটোয়া, টরেন্টো, মনট্রিলসহ কানাডা জুড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঈদ উদযাপন করলেও কোথায় যেন ছিল এক শূন্যতা। সাম্প্রতিক সময়ের কোভিড-১৯ আর গত ৬ মাসে প্রিয়জন হারানোর বেদনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ঈদের দিনে সন্ধ্যায় বাঙালির চিরাচরিত আড্ডার পাশাপাশি চলে ঈদ উপলক্ষে নানা সুস্বাদু খাবার। বিরিয়ানি, পোলাও, কোর্মা, মাংসের চপ, রোস্ট, জর্দা আর গৃহবদধূদের নিজ হাতের তৈরি দইসহ নানামাত্রিক রান্না করা খাবার। থাকছে মধু মাসের মধু ফল আমও। প্রবাসীদের মহামিলনের পাশাপাশি প্রবাস থেকে দেশের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গেও চলে টেলিফোনে আলাপচারিতা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বিদেশগামী সবার করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে না
Next post এথেন্সে ঈদুল আজহা উদযাপন
Close