Read Time:2 Minute, 54 Second

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় কঠোর নিয়ম ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বুধবার হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সকালে তাওয়াফ আল-কুদুম (আগমনী তাওয়াফ) ও সাঈ করেন হাজিরা। পরে তারা মসজিদুল হারাম থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে মিনার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানেই তারা দিনভর অবস্থান করেন।

হজ ও উমরা বিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আব্দেল ফাত্তাহ মাশাত জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশিত অন্যান্য সতর্কতা মেনে তাওয়াফ ও সাঈ পর্ব শেষ হয়েছে।

সৌদি সংবাদমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট জানিয়েছে, হাজিদের বুধবার মক্কায় প্রবেশের আগে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভালের জন্য প্রতি ৫০ জনের দলে এক জন করে স্বাস্থ্যনেতা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সব সময় হাজিদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক পরাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো দেখভাল করবেন।

হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে মিনায় হাজিদের থাকার ব্যবস্থা করেছে। পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাজিদের খাবার সরবরাহের জন্য একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাজিদের আবাসস্থল, বাস ও অপেক্ষার এলাকাগুলোতে এসব খাবার সরবরাহ করা হবে।

বৃহস্পতিবার মিনা থেকে হাজিরা আরাফার ময়দানে যাবেন। সেখানে তারা খুতবা শুনবেন এবং যোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন।

এবার হাজিদের সংখ্যা নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি কাটেনি। সৌদি সরকার চলতি মাসের প্রথম দিকে জানিয়েছিল, এবার হাজির সংখ্যা এক থেকে ১০ হাজারের মধ্যে হবে। বুধবার সরকারিভাবে হাজিদের সংখ্যা ঘোষণা করা হয়নি। তবে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো হাজিদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার বা ১০ হাজারের মধ্যে জানালেও আরব নিউজ জানিয়েছে, মিনায় বুধবার এক হাজার হাজি অবস্থান করেছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণ: দায় স্বীকার আইএসের
Next post করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিচ্ছে রাশিয়া
Close