Read Time:2 Minute, 34 Second

এখনও নিউজার্সির পুলিশ সেখানকার মেধাবি ছাত্র বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত উমর সালেহ (২৩)-র মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে সক্ষম হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৪তম স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ৪ জুলাই দুপুরে হাডসন নদী থেকে উমরের লাশ উদ্ধার করে। ঐ নদীর কাছেই এডিশন সিটিতে মা-বাবা-ভাইয়ের সাথে বাস করতেন ওমর।

তিনি ছিলেন রাটগার্স ইউনিভার্সিটির শেষবর্ষের ছাত্র। আরো কয়েক সহপাঠীর সাথে স্বাধীনতা দিবসের উৎসব করতে নদী সংলগ্ন এক বন্ধুর বাসায় জড়ো হন ৩ জুলাই সন্ধ্যায়। এই বন্ধুদের মধ্যে ম্যানহাটানের এক যুবতীও (২২) ছিলেন। সকলেই পরস্পরের পরিচিত এবং শৈশব-কৈশোর একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিবাহিত করেছেন বলে পুলিশ জানায়।

ওমরের লাশ উদ্ধারের ৫ ঘণ্টা আগে একই নদী থেকে ঐ যুবতীর লাশও উদ্ধার করা হয়। দুটি মৃত্যুর ঘটনা একই সূত্রে বাঁধা বলেও তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করলেও এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে সক্ষম না হওয়ায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদিকে, রাটগার্স ইউনিভার্সিটির ছাত্র বিষয়ক ভাইস চ্যান্সেলর ষালভেদর বি মিনা ১৫ জুলাই ওমরের দু:খজনক মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করেছেন ভার্সিটিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু শিক্ষাবর্ষে এই ভার্সিটির স্কুল অব আর্টস এ্যান্ড সায়েন্সে ভর্তি হয়েছিলেন ওমর। আসছে জানুয়ারিতে তার গ্র্যাজুয়েশনের কথা। ইংরেজী ও ফিলোসফিতে ডাবল মেজর এবং ক্লাসিক্যাল সিভিলাইজেশনে মাইনোর করছিলেন ওমর।

জানা গেছে, হাডসন কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিসের হোমিসাইড ইউনিট এবং জার্সী সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট যৌথভাবে এই দুটি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে কাজ করছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহের হত্যাকারী চিহ্নিত
Next post অস্ট্রেলিয়ায় এক বাংলাদেশি নবজাতককে ঘিরে উচ্ছ্বাস
Close