করোনাভাইরাসের ভুয়া প্রতিবেদন কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হওয়া জেকেজি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেকেজির অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ। তিনি আরও দাবি করেন, আরিফের সঙ্গে তিনি আর সংসার করছেন না।
রোববার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে গণমাধ্যমে সাবরিনা দাবি করেন, ‘জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরী এ মুহূর্তে আমার স্বামী না। আমরা আলাদা থাকছি। ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি। আরও দুই মাস লাগবে ডিভোর্স কার্যকর হতে।’
ডা. সাবরীনার বক্তব্য জানতে তার কর্মস্থল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গেলে তিনি প্রথমে হাসপাতালের পরিচালকের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে সাবরীনা উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমি জেকেজি হাসপাতালের চেয়ারম্যান নই। আপনারা আগে কাগজ দেখান, তারপর আমার ব্যাখ্যা চান। এছাড়া, লক্ষবার প্রশ্ন করলেও আমি কোনো উত্তর দিব না।’
পরে তিনি আবার দাবি করেন, ‘জয়েন্ট স্টকে আপনারা খবর নেন। আমি কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান নই। আমি জেকেজির স্বাস্থ্যকর্মীদের আমি ট্রেনিং দিতাম। আমি শুধুর ট্রেনিং সেন্টার পর্যন্ত যেতাম।’
হাসপাতালের সাইবোর্ডে তার নামের শেষে এখনও জেকেজি হাসপাতালের গ্রেপ্তারকৃত প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরী নামের শেষাংশ যুক্ত আছে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমনও তো হতে পারে এটা আমার আসল নাম না। ফেসবুকীয় নাম। এটা এখনও পরিবর্তন করা হয়নি। দ্রুতই করব।’
এক পর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে সাবরীনা বলেন, ‘কোনো কিছুর মালিক না হয়ে এতটা…. আমি শিকার হচ্ছি, এটা কী মনে করেন আপনারা এবং আমি জানি, আমি কোনো অনৈতিক কাজ আজকে কেনো জীবনেও করিনি। আমি এ বিষয়ে কনফিডেন্ট।’
এর আগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার রিমান্ড চাওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা জেকেজি গ্রুপের হিমু ও তার ওয়াইফ তানজিনাকে গ্রেপ্তার করার পর তারা জানায় বাড়িতে গিয়ে তারা স্যাম্পল কালেকশন করেন। তানজিনা একজন নার্স হওয়ায় সে দিনের বেলায় স্যাম্পল কালেকশন করে আর পরবর্তীতে সেগুলো ফেলে দেয়। হিমু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ায় সে সার্টিফিকেট বানিয়ে সরবরাহ করে। এগুলোর জন্য তারা পাঁচ হাজার টাকা ফি নেয় এবং বিদেশি হলে ১০০ ডলার ফি নেয়। হিমু ও তানজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এগুলোর সাথে জেকেজি গ্রুপ জড়িত বলে তথ্য দেয়। তারপর জেকেজির সিইও আরিফুল হকসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তাদের থেকে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যায়।’
পুলিশ জানিয়েছে, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনার আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এসবের প্রমাণ মিলেছে।
More Stories
‘গুলি-গ্রেনেডের ভয়ে পালাবে না, এমন সাহসী নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে’
মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে মির্জা ফখরুল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গুলি-গ্রেনেডের ভয়ে যারা...
ভারতীয় মশলা-পেঁয়াজ কার ঘরে নাই, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতীয় মশলা ও পেঁয়াজ কার...
দেশি পণ্য কিনতে বলায় আওয়ামী লীগের গা জ্বালা শুরু হয়েছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতীয় পণ্যবর্জ করে স্বদেশি পণ্য কিনতে বলায় আওয়ামী লীগের গা জ্বালা শুরু...
দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা...
শান্তিপূর্ণ ও অসহিংস আন্দোলন চলবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করি, যার মধ্য...
‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ না বলায় অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রলীগের তালা
‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ না বলায় নীলফামারীর সৈয়দপুরের একটি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রোববার (২৪ মার্চ)...