Read Time:3 Minute, 8 Second

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের অবস্থা সংকটাপন্ন। কারও সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। প্রায় ৯ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১১ জুন রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজশাহীতে বোন শিখা বিশ্বাসের বাসায় আছেন। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

রোববার বিকেলে এন্ড্রু কিশোরের পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয় গণমাধ্যমের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘আমি তার পাশেই আছি। তার অবস্থা সংকটজনক। তিনি খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। সবাই দোয়া করবেন, সৃষ্টিকর্তা তার কষ্টটা যেন কমিয়ে দেন।’

এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা এমনিতেই তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় আছি, এমন গুজব ছড়ানোর কারণে আমাদের ওপর আরও মানসিক চাপ পড়ে। প্লিজ এসব যেন মানুষ না ছড়ায়।’

এর আগে গত বছরের ৯ সেপ্টেস্বর শরীরের নানা জটিলতা নিয়ে সিঙ্গাপুর চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ছয়টি ধাপে তাকে মোট ২৪টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে।

এন্ড্রু কিশোরের জন্ম রাজশাহীতে। সেখানেই কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। এন্ড্রু কিশোর প্রাথমিকভাবে সংগীতের পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। একসময় গানের নেশায় রাজধানীতে ছুটে আসেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, আধুনিক গান, লোকগান ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী হন।

১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post খাদ্যের মাধ্যমে করোনা ছড়ায় না
Next post গণস্বাস্থ্যের কিটের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া ঔষধ প্রশাসনের
Close