Read Time:2 Minute, 51 Second

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে এবং তার বাইরে মানুষের ক্ষোভ তিনি পুরোপুরিই বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

বিবিসি জানায়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এমনটি বলেন বরিস জনসন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন গুরুত্বপূর্ণ। আমি পুরোপুরি ভাবেই তাদের এই ক্ষোভ উপলব্ধি করছি। (ফ্লয়েডের মৃত্যুতে) যে শোক অনুভূত হচ্ছে সেটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, পুরো বিশ্বে, আমাদের দেশেও।

তিনি আরও বলেন, তবে আমি একটা কথাই বলব যে, প্রতিবাদ হতে হবে আইনসম্মতভাবে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা নিয়ে আমাদের দেশের বিধিনিষেধ অনুসরণ করেই এই বিক্ষোভ হওয়া উচিত।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত। রবিবার লন্ডনে কয়েক হাজার লোক বিক্ষোভে যোগ দেয়। আরও বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে যুক্তরাজ্যে।

গত ২৫ মে মিনেপোলিসে কয়েকজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে গলায় হাঁটু চেপে হত্যা করলে যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়।

বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে।  পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করেছে মার্কিন সরকার। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারফিউ ভঙ্গ করা হয়েছে যা ব্যাপক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

নিউইয়র্ক, শিকাগো, ফিলাডেলপিয়া ও লস এঞ্জেলসে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও মরিচের গুড়ো নিক্ষেপ করেছে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটছে অনেক শহরে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বিক্ষোভ থামানোর আহ্বান জানালেন সেই কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের ভাই
Next post প্লাজমা থেরাপি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্য, আর বাংলাদেশে যা হচ্ছে!
Close