Read Time:4 Minute, 48 Second

শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যার প্রতিবাদে টানা ছয় দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে।

বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভ ঠেকাতে অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি হলেও তা ভেঙে রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা।

রোববার রাতে নিউইয়র্ক, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড রোববার জানিয়েছে, রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ ১৫টি রাজ্যে তাদের পাঁচ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভাকারীরা রোববারও হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের দিকে ঢিল ছুড়েছে।

কাঁদুনে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ফ্ল্যাশ গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়েছে দাঙ্গা পুলিশকে।

এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

২৫ মে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর থেকে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠে।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চার পুলিশ সদস্যকে তৎক্ষণাই বরখাস্ত করা হয়। ফ্লয়েডের পরিবার জড়িত চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভকারীরা উপস্থিত হওয়ার পর পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষায় তাকে হোয়াইট হাউসের আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই রাতে হোয়াইট হাউজের বাইরে মানুষের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে তা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সঙ্গীসাথীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মাটির তলার আস্তানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তবে মেলানিয়া ট্রাম্প এবং ব্যারন ট্রাম্পকেও তার সঙ্গে সেখানে পাঠানো হয়েছিল কিনা তা এখনও অস্পষ্ট।

প্রায় ঘণ্টাখানেক মাটির তলায় ঘাপটি মেরে থাকতে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বাঙ্কার থেকে তাকে ওপরে তোলার পরেও নাকি বেশ আতঙ্কেই ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ক্রমেই লুটপাট আর সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে।

শনিবার রাতে বিক্ষোভের আড়ালে লস অ্যাঞ্জেলসে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শহরের বেশ কয়েকটি মার্কেট ও সুপারশপের গেট ভেঙে লুটপাট করা হয়েছে।

শনিবার বেভারলি হিলস ও ফেয়ারফ্যাক্সে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মেলরোজ অ্যাভিনিউয়ে একটি এটিএম বুথ ভেঙে সেটি নিয়ে যেতে দেখা গেছে লুটেরাদের।

অন্যরাও বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেছেন। শহরের গ্রুভ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post যে ওষুধ সাধারণ মানুষ কিনতে পারবে না, সেটি আমিও নিবো না: ডা. জাফরুল্লাহ
Next post যুক্তরাষ্ট্র চীনা স্বার্থের ক্ষতি করলে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বেইজিং
Close