Read Time:3 Minute, 18 Second

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা ভালো নেই। অনেকে চাকরি হারিয়ে বেকার আবার কেউ চাকরি থেকেও ঘরবন্দী জীবন যাপক করছেন। যারা ছোট ব্যবসা করেন তাদেরও আয় কোন নেই। ফলে প্রতি মাসেই স্বজনদের কাছে অর্থ কম পাঠাচ্ছেন। প্রতিবছর ঈদের সময় রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠান প্রবাসীরা। তবে দুর্যোগের কারণে রেকর্ড পরিমাণ না বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে।

চলতি মে মাসের ১৯ দিনে দেশে ১০৯ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১০৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্থানীয় মুদ্রায় ১ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৯ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। আগের বছরের মে মাসে টাকার অঙ্কে রেমিট্যান্স পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যদিও আগে বছরের কোন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছিল না। যার ফলে গত অর্থবছরে মে মাসে ঈদের আগে ১৭৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রবাসী থাকা বেশিরভাগ দেশে লকডাউন অবস্থা চলছে। এর ফলে প্রবাসী অনেকের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, আবার অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন। এই দুর্যোগের মধ্যেও ঈদ উপলক্ষে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। আবার যারা দেশে চলে আসছেন, তারাও টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, বহন করে বেশি টাকা আনা যায় না। এ জন্য আয় বেড়েছে। সামনের দিনে প্রবাসী আয় পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, ঈদের আগে ধার করে হলেও প্রবাসীরা টাকা পাঠিয়ে থাকেন। আবার যারা চলে আসবেন, তারা সঞ্চয় ভেঙে ফেলছেন। এসব টাকায় দেশে আসছে। জুনে মাসে গিয়ে প্রকৃত চিত্র বোঝা যাবে। প্রবাসী আয় অনেক কমে যাবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একযোগে লড়াইয়ের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
Next post বাংলাদেশে একদিনে শনাক্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
Close