Read Time:3 Minute, 55 Second

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গ্রোসারিগুলো চুটিয়ে ব্যবসা করলেও টিকতে পারছে না কমিউনিটিভিত্তিক রেস্টুরেন্টগুলো। রমজানে প্রতিবছর রেস্টুরেন্টগুলো যে ব্যবসা করে তা বছরের অন্য ১১ মাসের চেয়েও বেশি বলে মালিকেরা জানান। কিন্তু এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখলেও কর্মচারির বেতন দূরের কথা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বিলের সমপরিমাণও বিক্রি হচ্ছে না।

করোনার কারণে নিউইয়র্কসহ সমগ্র আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে রেস্টুরেন্টগুলো। গত বছর শুধু নিউইয়র্ক সিটিতে ৩ শতাধিক সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কমপক্ষে ৪০টি মসজিদে প্রতিদিনই ইফতার বিতরণ করা হয়েছে মুসল্লীগণের মধ্যে।

পারিবারিক আমেজেও ছোট ছোট ইফতার পার্টি হয়েছে। এসব পার্টিতে ইফতারি বক্স সরবরাহ করেছে রেস্টুরেন্টগুলো। অর্থাৎ মিলিয়ন ডলারের অধিক ব্যবসা হয়েছে রমজানে শুধু ক্যাটারিংয়ে। এর বাইরে রয়েছে রেস্টুরেন্টে ইফতার গ্রহণকারি এবং চলতি পথে ইফতারি বক্স ক্রয়কারি। সবকিছু মিলিয়ে দুই মিলিয়ন ডলারের নিশ্চিত ব্যবসা থেকে চরমভাবে বঞ্চিত হলো রেস্টুরেন্টগুলো।
এই ঘাটতি পূরণ করা একেবারেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশনের (সিএমএমবিবিএ)’র নেতা আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, রমজান উপলক্ষে কমিউনিটির সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী-আঞ্চলিক সংগঠন ছাড়াও রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার পার্টি হতো। মসজিদে প্রতিদিনই ইফতার বিতরণ করার জন্যে রেস্টুরেন্ট থেকে তা ক্রয় করা হতো। রেস্টুরেন্টে দলবেঁধে বসেও অনেকে ইফতার করতেন। এবার কিছুই নেই। প্রতিদিনই বিভিন্ন আইটেমের পণ্য তৈরী করছি ইফতারের জন্যে। মূল্যও তুলনামূলকভাবে কম ধার্য করেছি। কিন্তু কাস্টমার নেই।

উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশি তথা দক্ষিণ এশিয়ানদের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে সবচেয়ে বড় ‘খাবার বাড়ি’ রেস্টুরেন্ট এবং জ্যামাইকায় সুপার মার্কেটের মালিক মো. কামরুজ্জামান কামরু বলেন, গ্রোসারি ব্যবসা ভালোভাবেই চলছে। তবে বিপদে রয়েছি রেস্টুরেন্ট নিয়ে। প্রতিদিনই বিপুল অর্থ লোকসান দিতে হচ্ছে। কারণ, ইফতার পার্টি নেই, ক্যাটারিং নেই, ভাসমান ক্রেতাও আসছেন না। সকলেই গৃহবন্দী বিধায় কাঁচামাল ক্রয় করে ঘরেই তৈরী করছেন সবকিছু।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন শতাধিক রেস্টুরেন্টের প্রতিটি বিরাট লোকসানের মুখে। অনেকেই ব্যাংক্রাপসি ঘোষণার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post করোনায় পুরুষদের মৃত্যু হার বেশি কেন?
Next post মালয়েশিয়ার সবজি বাজার গুলো থেকে চাকরি হারাচ্ছে বাংলাদেশিরা
Close