Read Time:4 Minute, 21 Second

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত ছাড়িয়ে গেছে ৩০ লাখ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস রোধে এখনো কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানাচ্ছে, কভিড-১৯ রোগের অন্তত ৭০টির বেশি ভ্যাকসিন গবেষণা চলছে। যেখানে একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ১০-১৫ বছর লেগে যায় সেই কাজ কয়েক মাসেই করে ফেলতে বিজ্ঞানীরা হন্য হয়ে রাতদিন খাটছেন। 

আলজাজিরা জানায়, শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো ছাড়াও ধনকুবের ব্যক্তিরাও বিপুল পরিমাণ টাকা ঢালছেন ভ্যাকসিন আবিষ্কারে। মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন করোনা প্রতিরোধে অন্তত সাতটি ভ্যাকসিনের পেছনে অর্থ সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

করোনার ভ্যাকসিনে আবিষ্কারে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ২৭ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। বিখ্যাত ওষুধ কোম্পানি মডার্নার ভ্যাকসিন গবেষণার ওপর ৫০০ ডলারের বাজি ধরেছে মার্কিন সরকার। ইতিমধ্যে সেই ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এদিকে চীনেও একটি ভাইরাসের মানবদেহে ট্রায়াল শুরু করেছে।  

তবে কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিয়ে সবচেয়ে সাড়া ফেলেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইন্সটিটিউট। এর মধ্যে ২৩ এপ্রিল থেকে মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে তাদের ভ্যাকসিনটির। করোনার ভ্যাকসিন দৌড়ে এটিকেই এখন পর্যন্ত পর্যন্ত এগিয়ে রাখছে সবাই।  

ধারণা করা হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসেই আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আসছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এই ভ্যাকসিন।

জেনার ইন্সটিটিউট বলছে, বেশ কার্যকর একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তারা। মে মাসের মধ্যে ৬ হাজার মানুষের ওপর তাদের পরীক্ষা চলবে।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি বানরের ওপর এগুলো পরীক্ষা করা হয়। ২৮ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তারা সুস্থ আছে। এর ফলে ভ্যাকসিনটি নিয়ে আরও আশাবাদী গবেষকেরা।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রকি মাউন্টেন ল্যাবরাটরিতে এইসব বানরদের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। তাদের ওপর বেশি মাত্রায় ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। 

ট্রায়ালের আগেই জেনার ইন্সটিটিউটের গবেষণাটির প্রধান বিজ্ঞানী ড. সারাহ গিলবার্ট জানিয়েছিলেন, একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে যাচ্ছেন তারা। সেপ্টেম্বরের ভেতর ভ্যাকসিন প্রস্তুতের বিষয়ে তারা ৮০ শতাংশ আশাবাদী।

প্রতিষ্ঠানটিরভ্যাকসিন তৈরির প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায় ১০টি রোগের ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে অতীতে। যার সবগুলোই সফল হয়। ফলে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটির দিকে এখন ত্যাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post করোনা ঝুঁকির মধ্যেও এভাবে বেঁধে রাখা হলো কারাবন্দীদের
Next post এক নক্ষত্রের পতন
Close