Read Time:12 Minute, 20 Second

ফিরোজ মাহবুব কামাল

১.

মানব জীবনে সবচেয়ে বড় ইবাদত হলো খুনি-ধর্ষক, জালেম-ফাসেক, চোর-ডাকাত, ধর্মব্যবসায়ী, বিদেশী হানাদার ও নানারূপ দুর্বৃত্তদের থেকে দেশকে পাহারা দেয়া। ইসলামে এরূপ নির্মূলের কাজটি হলো পবিত্র জিহাদ। মহান আআল্লাহর কাছে এটিই হলো শ্রেষ্ঠ ইবাদত -যা বলা হয়েছে সুরা সাফ’য়ের ৪ নম্বর আয়াতে। সমাজে জিহাদ না থাকলে বিলুপ্ত হয় নবীজীর ইসলাম যাতে রয়েছে ইসলামী রাষ্ট্র, আদালতে শরিয়তের প্রতিষ্ঠা এবং ভাষা-বর্ণ-আঞ্চলিকতার নামে গড়া বিভক্তির দেয়াল ভেঙ্গে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য। ইসলামের শত্রুপক্ষ তাই মুসলিম জীবনে জিহাদ চায় না। তারা চায়, মুসলিমগণ বাঁচুক ইসলাম ছাড়াই।  

২.
বাঁচার সংগ্রাম পশু-পাখির জীবনেও থাকে। শ্রেষ্ঠ ও বিবেকমান মানুষ তো সেই -যে সংগ্রাম করে পরকালে জান্নাত পাওয়ার লক্ষ্যে। এমন মানুষের পরিচয়, সে সব সময় মগ্ন থাকে নেক আমলে এবং দূরে থাকে সকল রকমের গুনাহ থেকে। তখন বিপ্লব আসে জ্ঞানের রাজ্যে ও জিহাদের ময়দানে। কারণ, এ দুটি খাতই হলো নেক আমলের শ্রেষ্ঠতম খাত। সমাজে এমন মানুষের সংখ্যা বাড়লে নির্মূল হয় দুর্বৃত্ত শাসন। এবং তখন জোয়ার আসে শান্তি ও উন্নয়নে। একটি দেশে দুর্বৃত্তদের শাসন দেখে বলা যায়, সমাজে এমন মানুষের সংখ্যাটি কত নগণ্য।  

৩.
মানব সমাজে সব চেয়ে বড় এবং ক্ষতিকর ব্যবসাটি হয় ধর্মের নামে। এ ব্যবসায় পুঁজি লাগে না। লাগে ধোকা দেয়ার সামর্থ্য। এ ব্যবসা জনগণকে টানে জাহান্নামের পথে। এদের কারণেই নবীজী (সাঃ)র ইসলাম যাতে ছিল শরিয়ত, জিহাদ, মুসলিম ঐক্য ও ইসলামী রাষ্ট্র -তা কোন মুসলিম দেশেই বেঁচে নাই।মুসলিমগণ বাস করছে নবীজী (সাঃ)র ইসলাম ছাড়াই।  
৪.
ফ্যাসিস্টদের পরিচয় হলো,এরা ধোঁকা দিয়ে জনগণের ভোট নেয় সে ভোটের অধীকার কেড়ে নেয়ার জন্য। যারাই তাদের বিরুদ্ধে খাড়া হয় তাদেরকেই এরা নির্মূলে করে। এরা বিলুপ্ত করে ন্যায় বিচারকে। বাংলাদেশে এর উদাহরণ শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা। হিটলার একই পথে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল জার্মানিতে।  

৫.
ঘরে আগুণ লাগলে ঘুমিয়ে থাকায় প্রাণনাশ হয়। সেটি হয় দেশে আগুণ লাগাতেও। দুর্বৃত্ত-অধিকৃত মুসলিম দেশগুলি জ্বলছে। এমন সময়ে জিহাদ ফরজ।এ সময় ঘুমিয়ে থাকাটি হারাম। তাতে মৃত্যু ঘটে দুর্বৃত্তদের হাতে। সেটি শুধু দেহের মৃত্যু নয়, ঈমানের মৃত্যুও।

৬.
গর্বের কাজটি ভাষার নামে বা এলাকার নামে রাষ্ট্র গড়ার যুদ্ধ লড়া নয়। এরূপ কাজ বেঈমানও করতে পারে।ঈমানদারের কাজ নানা ভাষা ও নানা এলাকার মানুষ নিয়ে বিশ্বশক্তি গড়া।এটিই নবীজী ও তাঁর সাহাবাদের পথ। এ কাজের মাধ্যমেই পরকালে জান্নাত জুটে। এবং ইহলোকে জুটে ইজ্জত।
৭.
ভারত-প্রতিপালিত শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে ভারতের বা মায়ানমারের মজলুম মুসলমানদের জন্য কিছু করা অসম্ভব। ঘাড়ের উপর বিশাল বোঝা চাপানো থাকলে -সেটি করা যায় না। বোঝাটি নামাতে হয়। তাই কিছু ভারত, মায়ানমার ও কাশ্মিরের মজলুম মুসলিমদের জন্য কিছু করতে হলে প্রথমে এ ভোটডাকাত সরকারকে মাথা থেকে নামাতে হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকার সেটি হতে দিতে  রাজি নয়। মোদির ন্যায় শেখ হাসিনাও মুসলিমদের দুষমন। মোদি গুজরাতে ও দিল্লিত মুসলিম হত্যা করছে। হাসিনা সেটি করছে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে। এবং সেটি গুম-খুনের রাজনীতির প্রয়োগ করে।

৮.
১৯৭১’য়ে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ভারতের যুদ্ধ করার মূল লক্ষ্যটি ছিল পূর্ব সীমান্তে পাকিস্তান ভেঙ্গে এক অনুগত বাঁদি রাষ্ট্রের জন্ম দেয়া। শর্ত ছিল, ভারতে মুসলিম নিধন হলেও বাংলাদেশ সে প্রসঙ্গে নিশ্চুপ থাকবে। বরং ভারত সরকারকে সমর্থণ করবে। সেটি যেমন শেখ মুজিব করে গেছে। এখন সেটি শেখ হাসিনা ও তার অনুসারিগণ করছে।

ভারতে মুসলিম হত্যা হচ্ছে। জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। নরেন্দ্র মোদি ও তার অনুসারিদের কাছে মুসলিম হওয়াটাই অপরাধ। হাসিনার কাজ হয়েছে মজলুম মুসলিমদের পাশে না দাঁড়িয়ে মোদিকে বাংলাদেশে এনে সন্মানিত করা।

৯.
ব্যক্তির জন্মই ইবাদতের জন্য। সে ইবাদত শুধু নামায-রোযা ও হজ্ব-যাকাতে শেষ হ্‌ওয়ার নয়। তাই শুধু নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাতে সে ইবাদত পালিত হয় না। তাতে জান্নাতও জুটে্ না। বরং মেধা, অর্থ, সময় এবং সামর্থ্যের সবটুকু ব্যয় হতে হবে মহান আল্লাহতায়ালার মাগফেরাত লাভে। এখানে কারো অংশীদারিত্ব থাকতে পারে না। মাগফেরাত লাভের বরকতেই জুটে জান্নাত। এমন পরকালমুখি ব্যক্তিরাই সব সময় নেক্কার হয়। এমন মানুষের সংখ্যা বাড়লে সমাজ-উন্নয়নে বিপ্লব আসে।

১০.

পশ্চিম  বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এক জনসভায় বলেছেন, দিল্লিতে নিহতদের লাশ লুকানো হয়েছে। মাত্র ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে। অথচ ৭০০ জন নিখোঁজ।

১১.
ফ্যাসিবাদীদের চরিত্রটি মুনাফেকীর। জনগনকে ধোকা দিতে তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। তারা গণতান্ত্রিক বিধান থেকে ফায়দা নেয় মাত্র; কিন্তু ক্ষমতায় এসেই হত্যা করে গণতন্ত্রকে। সে কাজটি জার্মানীর হিটলার, ইটালির মুসোলিনি যেমন করেছে, তেমনি করেছে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী মুজিব ও হাসিনা। তারা মুখে জনগণের ভোটের কথা বলে বটে, কিন্তু ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে। দেশের পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য ও বিচারকদের পরিণত করে চাকর-বাকরে।
১২.
দাসদের উৎসব কখনোই মনিবদের ছাড়া হয় না। হাসিনার কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মর্যাদাটি তাই বিশাল। মোদি হাসিনার গদির পাহারাদার। মুজিবের শতবার্ষিকীতে মোদিকে দাওয়াত দিয়ে পুরস্কৃত করা এতো আয়োজন। হাসিনার কাছে অতি বেদনাদায়ক হবে যদি তার অতি আপনজন ও মনিব নরেন্দ্র মোদিকে মাঝে বসিয়ে পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর উৎসব করতে না পারে। কারণ আপনজন ছাড়া উৎসব হয় কীরূপে?
১৩.
যাদের ইতিহাস গুম,খুন, সন্ত্রাস, স্বৈরাচার, চুরি-ডাকাতি ও ভোটডাকাতির -তারা সে পাপ ঢাকতে বিপুল অর্থ খরচ করে জনগণের চোখে ঠুসি লাগায়। কারণ তাদের খায়েশটি শুধু ক্ষমতায় থাকা নিয়ে নয়, বরং ইতিহাসে বিশাল ভাবে বেঁচে থাকা নিয়েও। মুজিবের পাপ এবং বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে তার কৃত অপরাধটি বিশাল।তার শাসনামলটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায়। সেটি যেমন গণতন্ত্র হত্যা, মানব হত্যা, সন্ত্রাস এবং দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির, তেমনি ভারত সেবার। মুজিব সুযোগ করে দেয় ভারত পরিচালিত সীমাহীন লুটের। ফলে সৃষ্টি হয় দুর্ভিক্ষের। মুজিব ভোট নেয় গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই জনগণের ভোটের অধীকার, দলগড়ার অধীকার এবং মতপ্রকাশের অধীকার কেড়ে নেয়। প্রতিষ্ঠা দেয় একদলীয় বাকশালী স্বৈর শাসন। নিজেকে আমৃত্যু প্রেসিডেন্ট রূপে দেশ শাসনের বিধি প্রণয়ন  করে। নিজের শাসন বাঁচাতে জনগণের উপর তার পেটুয়া রক্ষিবাহিনী দাবড়িয়ে দেয়। মানবতা বিরোধী এ অপরাধ তো বিশাল। এ অপরাধ ঢাকতেই হাসিনা নেমেছে বিশাল বিনিয়োগে এবং রাজস্ব দিয়ে সে ফজুল কাজে খরচ জোগাতে হচ্ছে খোদ জনগণকেই। মুজিব-শতবার্ষিকীর নামে ভোট ডাকাত হাসিনার লক্ষ্য হলো মুজিবের পাপ ধৌত  করে ইতিহাসে তাকে ফেরেশতা রূপে প্রতিষ্ঠা দেয়া।

১৪.
নামায দিনে ৫ বার, কিন্ত জিহাদ প্রতি মুহুর্তে। সেটি যেমন নফসের বিরুদ্ধে তেমনি ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রুদের বিরুদ্ধে।নামাযে ক্বাজা আছে, কিন্তু জিহাদে তা নাই।

১৫.
ফরজ হলো, শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ নিয়ে বাঁচা। মুসলিম হত্যার মধ্য দিয়ে ভারত প্রমাণ করছে দেশটি মুসলিমের শত্রু। পণ্য কিনলে শত্রুর শক্তি বাড়ে। ভারতের পণ্য কিনলে দেশটির শক্তি বাড়ে মুসলিম হত্যায়।সে শক্তি তখন ব্যবহৃত হয় ভারতে ও কাশ্মিরে মুসলিম হত্যার কাজে। তাই এ কাজ হারাম। পণ্য কিনলে মহাপাপ হয় মুসলিম হত্যায় ভারতকে সাহায্য করার। এজন্যই হারাম হলো ভারতের পণ্য কেনা।

১৬.
If fascists get power, they destroy the judiciary. In India, the judiciary now works as a servile tool of the ruling party. The judges now openly support the personality and politics of fascist Prime Minister Norendra Modi. Recently, the third senior-most judge of the Indian Supreme Court Arun Mishra highly praised Norendra Modi for his talent & foresight. But this judge couldn’t find any crime in his genocidal murder against Muslims. Such judges couldn’t find any crime in barbaric destruction of the historic Babri mosque; hence they could award the criminals who destroyed the mosque with the ownership of the mosque site.

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকচিহ্ন প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র ডাক বিভাগ
Next post ৭ মার্চ উপলক্ষে লস এঞ্জেলেসে আ.লীগের সভা
Close