Read Time:5 Minute, 31 Second

লস এঞ্জেলেসে বিভিন্ন স্থানে মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের আয়োজন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

একুশের প্রথম প্রহরে কন্সুলেট জেনারেল অফিসের কর্মীবৃন্দ কন্সুলেট ভবনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে একুশের পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। একই ভাবে লিটল বাংলাদেশ কমিউনিটি স্বদেশ চত্বরে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পর্ঘ অর্পণ করেন। বিভিন্ন সংগঠন আনন্দমেলা, লিটল বাংলাদেশ ইউএসএ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট সোসাইটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাকির খানের নেতৃত্বে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানমালায় ছিল আলোচনা সভা। উপস্থাপনায় ছিলেন মিঠুন চৌধুরী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কাবেরী রহমান।

এদিকে কন্সুলেট জেনারেল অফিসের কোন প্রতিনিধি কোন অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করে নি। এতে আয়োজকবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়। তবে কন্সুলেট অফিসের নিজস্ব কর্মসূচী থাকায় তারা কমিউনিটির কোথাও অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

এছাড়া লস এঞ্জেলেসের ভ্যালিতে সম্মিলিত বৃহত্তর লস এঞ্জেলেসবাসীর উদ্যোগে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে ভ্যালীর স্পাইস প্লাস গ্রোসারী চত্বরে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর ১২টা ০১ মিনিটে বিভিন্ন সংগঠন অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে, বাফলা, বিএনপি ক্যালিফোর্নিয়া, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ক্যালিফোর্নিয়া আওয়ামী পরিবারসহ অন্যান্য সংগঠন এতে অংশ নেয়।

২১শে ফেব্রুয়ারি সাকল ০৯টায় ছিল বাংলাদেশ কন্সুলেট অফিসের কর্মসূচী। শুরুতে স্থানীয় কমিউনিটির রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নব নিযুক্ত কন্সাল জেনালে তারেক মোহম্মদ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে এবং আগত সংগঠনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পৃথক পৃথক ভাবে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে কন্সুলেটের অস্থায়ী শহীদ মিনারে। কন্সুলেটের বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে কন্সুলেটের কার্যক্রম শুরু হয় বিভিন্ন পবিত্র গ্রন্থ থেকে পাঠ এবং বাণী পাঠের পর্ব।

এ সময় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কন্সাল জেনারেল তারেক মোহম্মদ।

বানীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, রক্তঝরা পথ পাড়িদিয়ে অর্জিত হয় মাতৃভাষা ও বাংলার স্বীকৃতি। এরই পথ ধরে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল কন্সাল আল মামুন।

প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে তিনি বলেন, মাতৃভাষার দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে থেকেই তার দিক নির্দেশনা দেন। এতে আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং তার ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তৎকালিন শাসক গোষ্টির জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয় ভাষা সৈনিকদের।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণীও পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ডেপুটি কন্সাল ওয়ালিউর রহমান। অনুষ্ঠান সূচীতে আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই বাতিল করা হয়। এতে কমিউনিটির মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, আওয়ামী পরিবারের সাংগঠনিক জটিলতার কারণে এটি পরিহার করা হয়েছে। এমনটাই স্থানীয় কমিউনিটির মানুষের ধারণা। সন্ধ্যা ৭টায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আপ্যায়ন পর্ব।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বিনম্র শ্রদ্ধায় নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
Next post শ্যাটো থেকে সুবিধা বঞ্চিত হল লিটল বাংলাদেশ কমিউনিটি
Close