Read Time:4 Minute, 44 Second

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার তিনি এ পরিচয়পত্র পেশ করেন। 

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর স্থায়ী মিশনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। রাবাব ফাতিমা হচ্ছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের পঞ্চদশতম স্থায়ী প্রতিনিধি। বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের পূর্বে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরিচয়পত্র পেশকালে স্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। এসময় মহাসচিব বাংলাদেশকে জাতিসংঘের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। 

স্পেন এর মাদ্রিদে সদ্য সমাপ্ত জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কপ-২৫ সামিটে অংশগ্রহণকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি উল্লেখ করেন মহাসচিব গুতেরেজ। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের উল্লেখ্যযোগ্য অবদান এবং বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও অব্যাহত সুনামের কথা আলোচনাকালে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেন মহাসচিব।

রোহিঙ্গা বিষয়ে মহাসচিব ও স্থায়ী প্রতিনিধির মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এই সমস্যার টেকসই ও দ্রুত সমাধানে সব ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন মর্মে পূণ:নিশ্চয়তা প্রদান করেন গুতেরেজ।

ঢাকায় আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়ে স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, জন্ম শতবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় বৈশ্বিকভাবে উদযাপন করা হবে। ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাথেও জন্ম শতবার্ষিকীর কর্মসূচি উদযাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। স্থায়ী প্রতিনিধি এক্ষেত্রে মহাসচিবের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।  

পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে ছিলেন মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারিক মো: আরিফুল ইসলাম, মিনিস্টার মনোয়ার হোসেন, জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি-বিনির্মাণ বিষয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজম্যারি এ. ডিকারলো এবং মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট মারিয়া লুইজা রিবিরিয়ো ভিয়োট্টি।

উল্লেখ্য, রাবাব ফাতিমা হলেন বাংলাদেশ মিশনে দ্বিতীয় নারী স্থায়ী প্রতিনিধি। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ইসমত জাহান। 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post বাহরাইনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী জাঁকজমকভাবে পালনের উদ্যোগ
Next post যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ, পুলিশসহ নিহত ৬
Close