Read Time:4 Minute, 17 Second

দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কাতার বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।

গত ১৫ নভেম্বর আলাদা আলাদা চিঠিতে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে ওই তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, বিএনপি কাতার শাখার সহ-সভাপতি লোকমান আহমদ, সহ-সভাপতি এম নুরুজ্জামান এবং সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মনছুর উল্লাহ রাশেদ।

কাতার বিএনপির সভাপতি আবু ছায়েদ বলেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে দলের স্বার্থবিরোধী কাজ করে আসছে। তাই আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে। এই বহিষ্কারাদেশের মাধ্যমে কাতার বিএনপিতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে জানান তিনি।

বহিষ্কারাদেশ প্রসঙ্গে লোকমান আহমদ বলেন, কি কারণে বহিষ্কার করা হল আমার জানা নেই। কিন্তু নির্বাচনকালীন বর্তমান কমিটির সাথে ছিলাম। কাউকে বহিষ্কার করার পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হয়? সেটি পাইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে চিঠি পাওয়ার পর সাংগঠনিকভাবে যা করণীয়, আমি সেই অনুসারে জবাব দেব।

আরেক নেতা এম নুরুজ্জামান বলেন, যে ইস্যুতে আমাকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে, তা আমি করিনি। আমি সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতির বিরোধিতা করেছিলাম। পরে আমার আইডি হ্যাক করে দলীয় স্বার্থবিরোধী লেখা প্রকাশ করা হয়।যার জন্য আমি অনুতপ্ত কিন্তু আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে কিভাবে তারা বহিষ্কার করে তা আমার বোধগম্য নয়। অথচ প্রতিটি শাখা কমিটির গুছানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছিলাম।

অন্যদিকে মনসুর উল্লাহ রাশেদ বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। যখন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া জেলখানায় বন্দী সে সময় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা তা পারিনি।

এ ব্যাপারে কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজু বলেন, দলীয় স্বার্থ ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত এই তিন নেতা। ফলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দলের এ দুঃসময়ে দেশে-বিদেশে নেতাকর্মীদের ঐক্য আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। কিন্তু দলের স্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তা দলীয় একতা ও শৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর। নতুন এই কমিটি দীর্ঘ ১০ বছর পর গঠনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে এসেছে। আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার সময় দলীয় স্বার্থবিরোধী কাজ করে তাহলে কিভাবে দেশনেত্রীর মুক্তি সম্ভব? তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post স্পেন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিন, সম্পাদক রিজভী
Next post মালয়েশিয়ায় ৪২ কূটনৈতিক মিশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘চ্যারিটি বাজার’
Close