Read Time:5 Minute, 4 Second

অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার দায়ে আটক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে, স্থানীয় নেতা বা সংশ্লিষ্টদের ছত্রছায়ায় ক্যাসিনো পরিচালিত হতো। তবে সেসব ‘লিডার’দের ম্যানেজ করার কথা বললেও কারা কারা জড়িত সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার দেওয়া তথ্য সঠিক কিনা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

র‌্যাবের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, খালেদের নিয়ন্ত্রণাধীন আরও ক্যাসিনো আছে কিনা বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ক্যাসিনোর মতো অবৈধ ব্যবসা চালাতে গেলে অবশ্যই অর্থ ভাগাভাগির বিষয় থাকে। সে বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। খালেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে নিশ্চিত না হয়ে এখনই সে বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা।
 

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টা ৩২ মিনিটে র‌্যাবের প্রহরায় গুলশান থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। 

এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে তিনটি  মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গুলশান থানায় অস্ত্র মামলা ও মতিঝিল থানায় মাদক মামলা করা হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হবে।

এর আগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর গুলশানের নিজ বাসা থেকে র‌্যাব সদস্যরা  তাকে আটক করেন। র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম এ তথ্য জানান।

খালেদ মাহমুদের বাসায় অভিযানে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা জানান, তার বাসা থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ২০১৭ সালের পর নবায়ন না করা একটি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৫৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খালেদ র্যাবকে জানায়, স্থানীয় নেতা বা সংশ্লিষ্টদের ছত্রছায়ায় ক্যাসিনোটি পরিচালিত হতো। ক্যাসিনোর মতো অবৈধ ব্যবসা চালাতে গিয়ে অর্থ ভাগাভাগির বিষয়েও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তার দেওয়া তথ্য সঠিক কি না যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের সংশ্লিষ্টরা। আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সার্বিক বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, আটক খালেদ ভূঁইয়াকে আমরা স্বল্প সময় জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পেয়েছি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যগুলো সঠিক কি না, নাকি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

বুধবার রাতে রাজধানীর মোট চারটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে মোট ১৮২ জনকে আটক করে র‌্যাব। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে ৩১ জনকে ১ বছর করে এবং বাকিদের ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post আজ নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
Next post জয়-লেখককে দিক নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
Close