Read Time:5 Minute, 45 Second
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দিতে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে ইসির প্রস্তাবে সিঙ্গাপুর সরকারের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
RELATED STORIES

বুধবার নির্বাচন কমিশন সভা শেষে সাংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. আলমগীর।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করা হয়। এ সংক্রান্ত ভোটার তালিকা বিধিমালা সংশোধন ও  প্রবাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধনে নীতিমালার খসড়া পর্যালোচনা করা হয়।

ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা কাজ শুরু করতে ইসির প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সম্ভাব্যতাও যাচাই করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে সিঙ্গাপুর সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়।

ইসি সচিব আলমগীর বলেন, “আমাদের দিক থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন কেবল সিঙ্গাপুর সরকারের অনুমোদন দেওয়া বাকি। তারা অনুমোদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করব। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিবন্ধন কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।”

তিনি জানান, সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। সেখানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হলে পরে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে কাজ শুরু করা হবে।

কমিশন সভার অগ্রগতির বিষয়ে সচিব বলেন, “আমরা বিদ্যমান আইন পরীক্ষা করে দেখেছি। কোথাও কোথাও সাংঘর্ষিক অবস্থা নেই। আমরা আজকের বৈঠকে নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছি। এজন্য আমাদের বিধিমালাও সংশোধন করতে হবে। এটা আমরা শিগগিরই করে ফেলব।”

সম্প্রতি সিইসি সৌদি সফরকালে সেখানকার দূতাবাস কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম যুক্তরাজ্য সফর ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর মালদ্বীপ সফলকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রবাসীদের নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেছেন। সেখানে প্রবাসীদের সার্বিক সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় ব্যাপক সাড়া মিলেছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের এনআইডি দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে। যারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন না, তারা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে বসানো ডেস্ক থেকে এ সংক্রান্ত সহায়তা পাবেন। নীতিমালা হয়ে গেলেই এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

প্রস্তাবিত নীতিমালা

প্রবাসীদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করা ও এনআইডি সেবার বিষয়ে নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি এমন- প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারযোগ্য ব্যক্তি অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে নিবন্ধন ফরম পূরণ করবেন। যারা অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে পারবেন না, তাদের জন্য নিবন্ধনের সময় হেল্পডেস্ক থাকবে। হেল্পডেস্কের দায়িত্বে থাকা অপারেটর সেখানে নিবন্ধন ফরম পূরণ করে দেবেন।

নিবন্ধন ফরম পূরণ করার পর একটি ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ভোটারের যাবতীয় তথ্য দেশে পাঠানো হবে এবং সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসার তদন্ত করে আবেদনকারী যে ঠিকানায় ভোটার হতে ইচ্ছুক সেটি সঠিক কিনা তা যাচাই করে প্রতিবেদন দেবেন।

আর এ কাজ তদারকি করবেন আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

আবেদনের সাথে ছবি আপ লোডের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে এবং প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ সময়সীমা হবে সাত দিন।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে ডেটা/তথ্য সংগ্রহ এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় টিম সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠানো হবে। রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ হলে তথ্যগুলো পুনরায় আবার দেশে এনে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র মুদ্রণ করা হবে। মুদ্রিত কার্ডগুলো সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ভিয়েনায় ফ্রেন্ডস ক্লাবের সামার গ্রিল পার্টি অনুষ্ঠিত
Next post দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
Close