Read Time:3 Minute, 12 Second

কাজী মশহুরুল হুদা :

লস এঞ্জেলেসে আগামী ১৬ ডিসেম্বর নবম তম বাংলার বিজয় বহর হতে যাচ্ছে। এখনও প্রায় এক মাসের মত বাকী, এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে আভ্যন্তরীতন কোন্দলের কারণে কমিটির মধ্যে রদবদল হতে যাচ্ছে। বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া সংবাদে জানা গেছে, বিশেষ ব্যাক্তিদের পদ থেকে অপসারণের মাধ্যমে এক পক্ষকে সন্তুষ্টির জন্য এই রদবদল করা হবে। আমি আগেই বলেছিলাম, বালাকে কেন্দ্র করে এই কোন্দলের সূত্রপাত ঘটেছে। যদিও ইতিমধ্যে নতুন কমিটি শপথ দিয়েছেন। তথাপি মন্ত্রী পরিষদ রদবদলের মত চাপের মূখে কমিটি গঠনকারি এবং বাংলার বিজয় বহর নিয়ন্ত্রক এই রদবদল করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ডা: সিরাজুল্লাহকে বাদ দিয়ে বিজয় বহর করতে বিপাকে পড়েছেন নিয়ন্ত্রক পুরুষ। এছাড়া কমিটি তৈরীতে প্রেসিডেন্টেরও অনুমোদন ছিল না এবং তিনি অভিষেকে উপস্থিতও ছিলেন না। এই সব কিছু সামাল দিতে চেয়ারম্যান পদ, সাধারণ সম্পাদক পদ এবং আরও এক বিশেষ ব্যাক্তির চাপে মেম্বার সেক্রেটারী ও কোষাধক্ষ্য পদ রদবদল হতে পারে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে পরিষদে নতুন মুখের আত্মপ্রকাশের কথাও জানা গেছে। বৈশাখি মেলার বিগত আহ্বায়ক সেন্টু পরিষদে যোগদান করছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বালার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এম হোসেন বাবুও বিজয় বহরে ইন করছেন। রদবদলে কে কোথায় যোগদান করছেন তা অচিরেই জানা যাবে।আরও সমস্যা দেখা দিয়েছে হল নিয়ে। শ্যাট সেন্টার পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য কোথাও করতে হবে। হাতেও সময় কম। আমার এই সকল তথ্য কোন সংবাদ নয়, শধুই মতামত। পাঠক মনে রাখবেন- সংবাদ এবং মতামত দুটি ভিন্নতর বিষয়। পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে মেরুকরণ খুঁজলে বিশ্লেষণ পাওয়া যায় না। একথা অনেকেই অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করি। রাজনীতির যেমন শেষ বলে কথা নেই, তেমনি বাংলার বিজয় বহরেরও শেষ বলে কথা নেই। রদবদল হবে, মেরুকরণ হবে, কেউ ইন করবে, কেউ বেরিয়ে যাবে। এটাই নিয়ম। এখানে কোন আদর্শিক বিষয় নেই। তবে উদ্দেশ্য একটা বাংলাদেশের বিজয় দিবস। একটি বিজয় দিসব সকলের মতামত দিয়েই সুষ্ঠুভাবে পালিত হোক সেটাই সুশীল সমাজের কাম্য।

 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post যুক্তরাষ্ট্রে আরটিএ’র কমিশনার হলেন বাংলাদেশি মোস্তফা সারওয়ার
Next post বাংলার বিজয় বহরের অ্যাম্বাসেডর হলেন অভিনেত্রী নিপা মোনালিসা
Close