Read Time:4 Minute, 17 Second

প্রাক্তন যুবরানি ডায়ানার থেকে অন্তত ১৬ বছরের বড় ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাতে অবশ্য প্রেম আটকায়নি। ক্যানসারে ভুগে ৭৩ বছর বয়সে ফ্রান্সে মারা গেছেন ডায়ানার সেই প্রাক্তন প্রেমিক অলিভার হোর।

ডায়ানার বাকি যে ক’জন প্রেমিকের কথা জানা যায় (জেমস হেউইট, জেমস গিলবে, উইল কার্লিং, হাসনাত খান এবং ডোডি আল ফায়েদ) তার মধ্যে অলিভারকেই সব চেয়ে সৌম্য দর্শন বলে মনে করা হত। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ডায়ানা-অলিভারের সম্পর্ক নিয়ে হইচই শুরু হলেও প্রেমিকপ্রবর কখনও তা স্বীকার করেননি।

শোনা যায়, কেনসিংটন প্যালেসে ঢোকার সময়ে ডায়ানা একবার অলিভারকে গাড়ির ডিকিতে নিয়ে এসেছিলেন। একবার রাজপ্রাসাদের রক্ষীরা অর্ধনগ্ন অবস্থায় অলিভারকে খুঁজে পেয়েছিলেন একটি তেজপাতা গাছের পিছনে। সে বার মাঝরাতে হঠাৎ ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠায় তৎপর হয়ে উঠেছিলেন রক্ষীরা। তার পরেই ওই কাণ্ড!

বিভিন্ন সূত্রে দাবি, ডায়ানা একটা সময়ে অলিভারকে নিয়ে রাতদিন মগ্ন ছিলেন। প্রাক্তন যুবরানির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী লেডি বোকারকে (এক কূটনীতিকের স্ত্রী) ডায়ানা বলেছিলেন, যে তিনি দিবাস্বপ্ন দেখছেন, সুপুরুষ অলিভারের সঙ্গে ইতালিতে জীবন কাটাচ্ছেন। তিন সন্তানের জনক অলিভার অবশ্য তার ধনকুবের স্ত্রীকে ছেড়ে যাওয়ার কথা কোনও দিনই ভাবেননি। অলিভার ছিলেন শিল্পসামগ্রীর ব্যবসায় জড়িত। শিল্পকলার ইতিহাসের এই ছাত্র সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ক্রিস্টিজ-এ যোগ দেন। পরে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন ইসলামি শিল্পকলায়। স্ত্রী ডায়ান ছিলেন তেল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী। ১৯৯৪ সাল নাগাদ প্রাক্তন যুবরানির সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন অলিভার। কিন্তু ডায়ানা সেই সময় অলিভারের বাড়িতে ফোন করে করে পাগল করে দিতেন বলে দাবি।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, স্ত্রীর জোরাজুরিতে পুলিশে খবর দিতে বাধ্য হন অলিভার। তদন্তে দেখা যায়, কেনসিংটন প্রাসাদের ব্যক্তিগত ফোন লাইন থেকে ৩০০টি কল এসেছে অলিভারের বাড়িতে। অন্য বেশ কিছু কল এসেছিল কেনসিংটন এলাকার সাধারণ ফোন থেকে। পরে অবশ্য অলিভারের অনুরোধেই তদন্ত বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ১৯৯৫ সালে মার্টিন বশিরের কাছে এক সাক্ষাৎকারে ডায়ানা মেনে নিয়েছিলেন যে, তিনি অলিভারকে কখনও-সখনও ফোন করেছেন। ছয় থেকে ন’মাসের মধ্যে বেশ কয়েক বার। তা বলে ৩০০ বার কিছুতেই নয়!

ব্রিটিশ রাজপরিবারের জীবনীকার লেডি কলিন ক্যাম্পবেলের দাবি, এই সময়ে ডায়ানা অসম্ভব মনঃকষ্টে ভুগছিলেন। কারণ প্রাক্তন যুবরানি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তাঁকে। সে সন্তান অলিভারেরই কি-না, তা নিয়ে মুখ খোলেননি জীবনীকার!

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সজীব ওয়াজেদ জয় ফাউন্ডেশন : গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন ক্যালিফোর্নিয়ার কাজল ও পলাশ
Next post মেসিবিহীন আর্জেন্টিনাকে রুখে দিল কলম্বিয়া
Close