Read Time:3 Minute, 17 Second

জর্ডানে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময়ে ৭জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন জঙ্গি সদস্য। আর বাকি চার জন পুলিশ ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। বন্দুকধারী যোদ্ধারা নিজেদের ভবন বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

গতকাল শনিবার রাতে দেশটির সল্ট শহরের একটি ভবনে থাকা একদল সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে বন্দুকযুদ্ধ শুরু পুলিশের। জর্ডান সরকারের মুখপাত্র জুমানা ঘুনাইমাত জানান, রবিবার শেষ হওয়া এই বন্দুকযুদ্ধ শেষে পাঁচজন জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ।

যে ভবনটিতে এই গোলাগুলি হয় সেটি জঙ্গিদের একটি আস্তানা ছিলো বলে সন্দেহ দেশটির পুলিশের। তিন তালা ঐ ভবনটিতে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হলেও জঙ্গিরা তা প্রত্যাখ্যান করে বলে দাবি করেন জুমানা। তিনি জানান, “সন্দেহভাজন জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। উলটো তারা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি যৌথ দলের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপরই পুলিশও ভবনটি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে”।

এক পর্যায়ে যৌথবাহিনী ভবনটিতে অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরাই বোমা দিয়ে ভবনটি উড়িয়ে দেয়। তবে এখনও ধ্বংসস্তূপকে ঘিরে অভিযান চালানো হচ্ছে। সেখানে কোন বেসামরিক লোক আটকা পরেছেন কী না তা দেখা হচ্ছে বলে জানান জুমানা।

এই ঘটনায় এখনও সংগঠন দায়ভার স্বীকার করেনি। তবে দেশটির সামরিক শাখার একটি নিউজ ওয়েবসাইট দ্য হালা আকবার থেকে বলা হয় যে, সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সকলেই জর্ডানের নাগরিক।

এদিকে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী ওমর আল রাজ্জাজ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদ এবং গোড়ামি চিন্তাধারণার বিরুদ্ধের যুদ্ধে জর্ডান সবসময়ই আগে থাকবে। যারা নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ করে তাদের বিরুদ্ধে জর্ডান নমনীয় হবে না”।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে জর্ডান। সিরিয়া এবং ইরাকের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠন আইএস এর সাথে সমঝোতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল জর্ডান। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর মিত্র হিসেবে জঙ্গি সংগঠনের লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছে জর্ডান।

সূত্রঃ আল জাজিরা

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post না ফেরার দেশে নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ভি এস নাইপল
Next post কাতারে বার্ষিক সাময়িকী ‘পরিবর্তন’ উন্মোচন
Close