Read Time:4 Minute, 57 Second

বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার স্বার্থেই রাজনৈতিক স্থিতির গুরুত্ব অপরিসীম। এ লক্ষ্যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করলো মার্কিন কংগ্রেস।

২৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল হিলে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সাব কমিটির উদ্যোগে ‘দক্ষিণ এশিয়ার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট-অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এক শুনানিতে এ গুরুত্বারোপ করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এশিয়া এবং প্যাসিফিক সম্পর্কিত সাব-কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান টেড ইয়োহো। তিনি বলেন, সর্বজনগ্রাহ্য একটি নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিক্রমা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন হচ্ছে শান্তি ও স্থিতি।

প্রভাবশালী সদস্য ব্রেড শারম্যান এবং কংগ্রেসম্যান স্কট পেরী বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে আয়োজনে কী ধরনের পদক্ষেপ অবলম্বন করা হয়েছে তা জানতে চান।

কংগ্রেসম্যান স্কট পেরী বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ব্যাপারে কংগ্রেসের অপরিসীম আগ্রহ রয়েছে। আমরা সব সময় দেখতে চাই যে, নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলসহ সকলের অংশগ্রহণ ঘটুক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী এলিস জি. ওয়েলস বলেন, রোহিঙ্গা, বন্যা, খরা, চিকিৎসা-সংকট ছাড়াও বাংলাদেশ আরেকটি পরিস্থিতির সম্মুখীন। সেটি হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। সম্ভবত: আসছে ডিসেম্বরে তা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের, যেখানে বিরোধী দলগুলো বিশ্বাসযোগ্যভাবে অংশ নিতে সক্ষম হবে।

ইউএসএআইডির এশিয়া ব্যুরোর সিনিয়র ডেপুটি সহকারী প্রশাসক গ্লোরিয়া স্টিলি বলেন, ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হবার কথা, সেটিকে সামনে রেখে ইউএসএইড বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, নির্বাচিত কর্মকর্তা, নারী নেতৃত্বসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ছাত্র নেতৃবৃন্দের সাথে কাজ করছে দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে জবাবদিহিতা, অন্তর্ভূক্তিমূলক এবং স্বচ্ছ্বতায় পরিপূর্ণ করার জন্যে। যার মধ্য দিয়ে নাগরিকদের প্রত্যাশার পরিপূরক একটি সুষ্ঠু নির্বান নিশ্চিত করা যেতে পারে।

এ শুনানির কিছুক্ষণ আগেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সাথে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্টিলি বলেন, সামনের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে সকল দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বাংলাদেশের মনোভাব নিয়ে কথা হয়েছে। শান্তি ও স্থিতির প্রশ্নে অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথাও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিকভাবে চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সাব কমিটির চেয়ারম্যান।

এই শুনানিতে আরও অংশ নেন কংগ্রেসম্যান ডানা রোহরাবাসের, কংগ্রেসওম্যান এ্যান ওয়াগনার, এবং কংগ্রেসম্যান এ্যামি বেরা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মালয়েশিয়া মাতাবেন জেমস, সঙ্গে রিয়াজ-পপি
Next post অবৈধ নাগরিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে আমিরাত সরকার
Close