২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য মেনে নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ড ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও মাত্র একদিন আগেও অভিযোগটি নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি।
ট্রাম্প বলছেন, সোমবারের বক্তব্যে তিনি ভুল বলেছিলেন। আসলে তিনি বলতে চেয়েছিলেন, রাশিয়া ওই নির্বাচনে ভূমিকা রেখেছে, সেটা মনে না করার কোনও কারণ নেই।
সর্বশেষ বক্তব্যে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর তার পূর্ব বিশ্বাস ও সমর্থন রয়েছে। যদিও তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের নিন্দা জানাবেন কি-না সে প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি।
তখন তিনি কি বলেছিলেন?
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর একজন সাংবাদিক জানতে চান, `২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে কোনও ধরণের ভূমিকা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুতিন। যদিও সব মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানতে পেরেছে, রাশিয়ার ভূমিকা ছিল। আপনি কাকে বিশ্বাস করেন?`
তার উত্তরে ট্রাম্প বলেন, `আমার লোকজন আমার কাছে এসেছিল, তারা বলেছে, তারা মনে করে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন, এটা রাশিয়ার কাজ নয়। আমি বলবো, আমি এমন কোনও কারণ দেখতে পাই না যে, তারা কেন এটা করবে।`
তিনি এখন কি বলছেন?
ট্রাম্প বলছেন, তিনি পুরো ঘটনার বর্ণনা পর্যালোচনা করে দেখেছেন এবং একটি ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার বলে মনে করেন।
`আমার বক্তব্যে একটি প্রধান বাক্যে আমি বলেছিলাম, তারা (রাশিয়া) কেন এটা করবে? আসলে সেটা হওয়ার কথা, তারা কেন করবে না?`
`বাক্যটা হওয়ার কথা এমন, আমি এমন কোনও কারণ দেখতে পাই না, কেন এটা রাশিয়া হবে না?“ বলছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো যোগ করেন, `আমাদের গোয়েন্দারা যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে, সেই সিদ্ধান্ত আমি গ্রহণ করেছি। হয়তো আরো অনেকেই করেছে, করার মতো আরো অনেকেই রয়েছে।`
যদিও ওই হস্তক্ষেপে নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়েনি বলেও বলছেন ট্রাম্প।
কেন এতো সমালোচনা?
সোমবারের ওই সামিটের পর রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট, উভয় পক্ষই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, নিজের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে ট্রাম্প রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক আইন প্রণেতা আরো আহত হয়েছেন এই কারণে যে, রাশিয়া এবং পুতিনের বিষয়ে নির্দিষ্ট সমালোচনা করতে রাজি হননি ট্রাম্প।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ভুলের কথা বলছেন, কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। হোয়াইট হাউজ এখন যতই বিবৃতি দিক না কেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে দাড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি আটকে গিয়েছিলেন। কোনও ব্যাখ্যাই সেটা আর পাল্টাতে পারবে না।
সূত্র: বিবিসি
More Stories
এরদোয়ান জয়ী
তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৫২ দশমিক ১২ শতাংশ ভোট পেয়ে...
বিশ্বের সেরা পাসপোর্ট আমিরাতের
মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সেরা পাসপোর্টের খেতাব জিতে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ, দ্বৈত...
এরদোগানের দিন শেষ?
তুরস্কে এরদোগানের দুই দশকের শাসনের অবসানের সময় যেন ঘনিয়ে এসেছে। যেন অস্তগামী এরদোগানের শাসনকাল। আধুনিক তুরস্কের একশো বছরের ইতিহাসে রোববারের...
জেলেনস্কিকে কাছে পেয়ে যা বললেন পোপ ফ্রান্সিস
আগ্রাসন থেকে পিছিয়ে আসেনি রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি পড়েনি এখনো। সীমিত ক্ষমতা নিয়ে রাশিয়ার মতো বিরাট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই জারি...
পাকিস্তানজুড়ে ‘স্বাধীনতা’ বিক্ষোভের ডাক দিলেন ইমরান খান
দেশজুড়ে ‘স্বাধীনতা’ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেয়ে শনিবার...
জামিন পেলেন ইমরান খান
আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেয়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার (১২ মে) তাকে দুই সপ্তাহের জন্য...