বিএনপি ক্যালিফোর্নিয়া শাখা থেকে আওয়ামীপন্থীদের বহিস্কারের দাবী

গত ১৮ই অক্টোবর ২০১৭ লস এঞ্জেলেসে ৫ই জানুয়ারীর অবৈধ নির্বাচনের ফসল অবৈধ আওয়ামী সরকারের অর্থমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে সম্বর্ধনার আয়োজন, আমন্ত্রণ-নিমন্ত্রণ-প্রচারণা, স্মতফুর্ত অংশ গ্রহণ, ভূয়শী প্রশংসার সাথে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া এবং ফটোসেশনের জন্য সৈয়দ নাসিরুদ্দিন জেবুল, বদরুল আলম মাসুদ, লায়েক আহমেদ, বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু, মাতাব আহমেদ ও শাহীন হককে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্যালিফোর্নিয়া শাখা থেকে বহিস্কার করার দাবী জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া বি এন পি নেতৃবৃন্দ।
তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার ২০১১ সালের ১লা জুলাই সংবিধান থেকে অন্যায়ভাবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ট রাজনৈতিক দল ও জনগণের মতামত না নিয়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্ববধায়ক ব্যবস্থা তুলে নেয়। যেই তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবিতে তারা দ্বীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে, হরতাল করেছে, শেরাটনের সামনে বাসে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। যে নির্বাচনে সকল বিরোধী দলের বর্জনে ১৫৪ টি আসনে কোন প্রার্থীই পাওয়া যায়নি, ৫ই জানুয়ারির ভোটকেন্দ্রে ৫% ভোটারও উপস্থিত হয়নি, সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি অবৈধ নির্বাচন বলে মনে করে। সেই অবৈধ নির্বাচনের ফসল এই আওয়ামীলীগ সরকার অবৈধ ও অনির্বাচিত। সেইভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও দলের নেতাকর্মীরা এই আওয়ামীলীগ সরকার ও সরকারের মন্ত্রীদের কর্মকান্ডকে অবৈধ বলে মনে করে। এটা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও সেই আদর্শের নেতা কর্মীদের বিশ্বাস। বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোতে মানুষ টাকা রাখে টাকা নিরাপদে রাখার জন্য। আজকের বাংলাদেশে প্রতিদিন ব্যাংকগুলো লুট হচ্ছে। এর অনেক খবর পত্রিকার পাতায় আসে অনেক খবর আসে না। যে খবর পত্রিকার পাতায় আসে না সেগুলো জনগণ জানতে পারে না। সরকারের এমপি, মন্ত্রীদের ভাব দেখে মনে হয় তারা ব্যাংকগুলোকে মানিব্যাগের মত ব্যবহার করছে। আমরা দেখলাম কয়েকদিন আগে এ অবৈধ অর্থমন্ত্রী বলেছেন, গত দশ বছরে নাকি বাংলাদেশে জিনিসপত্রের কোনো মূল্য বৃদ্ধি হয়নি। এ অবৈধ অর্থমন্ত্রীর এ কথাটি সঠিক না বেঠিক সেটা পর্যালোচনা করার ভার বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের। তারা বিবেচনা করবে আজকে তারা তথাকথিত উন্নয়নের নামে কিভাবে লুটপাট করছে। এটি জনগণের সামনে পরিষ্কার।” আওয়ামীলীগের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের প্রধান এমন মাথা মোটা রাবিশ মন্ত্রীকে ভূয়সী প্রশংসার সাথে ক্রেস্ট ও সম্বর্ধনা দেওয়ার দায়ে উপরোক্ত নেতৃবৃন্দকে বহিষ্কারের আবেদন জানিয়েছেন কামরুল হাসান তরুন, সাঈদ খান, মামুন খান, মানিক চৌধুরী, আব্দুল হাকিম, মিশর নুন, আবু তাহের সাজু, এ আর মাহবুবুল হক, মুরাদ হামিদ খান সানী,  ফারুক সরকার, খন্দকার তসলিম, মোঃ সামছুল ইসলাম, জহিরুল কবির হেলাল, মোঃ শাহজাহান, হাসানুজ্জামান মিজান, বাদল খান, শাহতাব কবির ভূঁইয়া শান্ত, নাঈমুল ইসলাম চৌধুরী, হোসেন আহমেদ, রেজাউল হায়দার চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, মিজানুর রহমান, খসরু রানা, শাহানুর কবির ভুঁইয়া শুভ্র, আজমউদ্দিন চৌধুরী দুলাল, সুমেন আহমেদ, রেজাউল করিম জামিল, জুয়েল আহমেদ, মিকায়েল খান রাসেল, খায়রুল ইসলাম, তানভীর আহমেদ, জাভেদ বখত্ , আবদুল মোতালেব, আলতাফ হোসেন, আহসান আহমেদ, মিল্টন খান, ওমর ফারুক, কামাল হোসেন, ফয়সল হোসেন সিদ্দিক, আমজাদ হোসেন, খোরশেদ আলম রতন, জিল্লুর রহমান চৌধুরী, তারেক খান, রওনক সালাম, তাসনুভা বেগম, রুহুল আমিন বাবু, সাজ্জাদ পারভেজ, হেলাল মজুমদার, ইসলাম উদ্দিন, শাহেদ আহমেদ, সিদ্দিক আহমেদ, জুনেল আহমেদ, মোঃ গোলাম সারোয়ার হোসেন, ইলিয়াস শিকদার, আবুল বাশার, আবদুল আহাদ, আবদুল হাকিম, কামরুল আলম চৌধুরী, গিয়াস আহমদ, মজিবর রহমান, ফখরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মোঃ শামীম উদ্দিন, আবদুল মুনিম, আশিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আবদুল হাসিব বাবুল, আবদুল কাদির, মাঈনুল আহমেদ, রিপন চৌধুরী, এড. নুরুল হক, জামিল আহমেদ, মোঃ রহমান রফিক, সফিকুল ইসলাম পলাশ, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ মুকুল, আবদুল্লাহ আল ফরহাদ, এনাম চৌধুরী, মোঃ আলম খোকন, সৈয়দ আলী আক্তার, রফিকুল আলম চৌধুরি সহ আরো অনেকেই।