ইফতারের আয়োজন করে মুসলিমদের তোপের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এবারই প্রথম হোয়াইট হাউজে ইফতারের আয়োজন করলেন তিনি।
বুধবারের ওই ইফতারে উপস্থিত ছিল না বেশ কয়েকটি শীর্ষ আমেরিকান মুসলিম সংগঠন। এছাড়া হোয়াইট হাউজের সামনেও বিক্ষোভ করেছেন অনেকে।
ট্রাম্পের আয়োজনে ওই ইফতারে প্রায় ৫০ জন অতিথি অংশ নেন। এর মধ্যে ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূত। একই সঙ্গে এই ইফতারের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউজের বাইরে প্রতিবাদ করেছেন বেশ কয়েকজন আমেরিকান মুসলিম। তারা হোয়াইট হাউজের বিপরীতে অবস্থিত লাফায়েত্তে পার্কে বিকল্প ইফতারের আয়োজন করেন।
ট্রাম্প অনুষ্ঠান শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ দিয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রশংসা করে।
ট্রাম্প বলেন, ইফতারে পরিবার ও বন্ধুরা এক হয় শান্তি উদযাপনের জন্য। এক হয়ে কাজ করলেই কেবল আমরা সবার জন্য নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ অর্জন করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, এই কারণে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম সফর মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্রে হওয়াতে আমি গর্বিত। সেখানে আমি পঞ্চাশটিরও বেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নেতাদের সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছি। এটা ছিল অনেক বড় বিষয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সর্ব প্রথম সৌদি আরবে সফর করেছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসন থেকে ইফতারে যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন, ট্রাম, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন ও ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার। ইফতারে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূত দিনা কাওয়ারের পাশে বসেন ট্রাম্প। অন্যান্য আরব দেশের মধ্যে সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, তিউনিসিয়া ও ইরাকের রাষ্ট্রদূতেরা ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।
কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স-এর এক পরিচালক রাবর্ট ম্যাকাউ বলেন, এক বছর ইফতার আয়োজন না করে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, কঠোর যাচাই প্রক্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের ওপর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের এই ভণ্ডামি আমরা তুলে ধরতে চাই। এতো কিছু পরও আমরা বন্ধু বলে দেখাতে হবে?
যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সংগঠনগুলো বুধবার জানিয়েছে তাদের ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
ইফতার শেষে অনেক সাংবাদিক টুইটারে লিখেছেন, প্রার্থনায় নেতৃত্ব দেয়া ইমাম ছাড়া আমন্ত্রিতদের মধ্যে কোনো আমেরিকান মুসলিম ছিলেন না। এমনকি রিপাবলিকান ও ট্রাম্প সমর্থক মুসলিম গোষ্ঠীগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আমেরিকান মুসলিমস ফর ট্রাম্প নামের সংগঠন সিএনএনকে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস শুধু মুসলিম রাষ্ট্রদূত ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
More Stories
যুক্তরাষ্ট্রে যত রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা
নির্বাচনী জনসভায় যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দেশটির রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে। তবে ট্রাম্পই...
গুলিতে ডান কান ফুটো হয়ে গেছে ট্রাম্পের
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার...
ভুলে জেলেনস্কিকে ‘পুতিন’ কমলাকে ‘ট্রাম্প’ বলে ডাকলেন বাইডেন
আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বাইডেনের আছে কিনা এ নিয়ে অনেকে সন্দেহ ও শঙ্কা প্রকাশ...
ট্রাম্প নেতৃত্ব দেওয়ার অযোগ্য: নিউইয়র্ক টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘নেতৃত্ব দেওয়ার অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করেছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক...
বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর পক্ষে মত ডেমোক্র্যাট নেতাদের, কী বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ভালো করতে না পারার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে জো বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে।...
বাইডেনের প্রার্থীতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ন্যাটো মিত্ররা
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স এবং স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কূটনীতিক...