Read Time:3 Minute, 6 Second
‘কবিতা থেকে লিরিক হারিয়ে যাচ্ছে এবং ছন্দ না জানলে কবি হওয়া সম্ভব নয়’ বলে মনে করেন কবি কামাল চৌধুরী। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর কাটাবনস্থ দীপনপুরে কবিতা আশ্রম আয়োজিত ‘আকাশভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ’ শীর্ষক গ্রীষ্মের পদাবলিতে তিনি এ কথা বলেন। স্বভাষা-বিভাষার কালজয়ী কবি ও কবিতা-আন্দোলনের একাধিক উদাহরণ দিয়ে কামাল চৌধুরী আরও বলেন, পাঠকের হৃদয়ে আলোড়ন তুলতে হয় কবিতাকে। কবিতা আবিষ্কার বা নির্মাণের কাজ নয়। কবিকে ভাষা তৈরি করতে হয়। কবিরা ভাষার পাহারাদার। কবিতা আশ্রমকে এমন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে কবি আসাদ মান্নান এর প্রতিষ্ঠালগ্নের কিছু স্মৃতি তুলে ধরেন তার ভাষণে। তিনি বলেন, কবিতার সাথে থাকার জন্য আমাদের অনেক লড়াই করতে হয়েছে। সুন্দর ও সত্যের সাথে থাকতে কবিতা আশ্রমের লড়াই চলবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কিশোরগঞ্জের তালজাঙ্গা গ্রামে ২১টি গাছ লাগিয়ে চন্দ্রাবতী কবিতা আশ্রমের প্রতিষ্ঠাকালীন স্মৃতিচারণ করে কবি আবু হাসান শাহরিয়ার বলেন, চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে কোটাবিরোধী মানুষ হওয়া সত্ত্বেও চন্দ্রাবতীর নামাঙ্কিত কবিতা আশ্রমের অনুষ্ঠানে পুরুষ-কবিদের পাশাপাশি নারী-কবিদেরও সমান অংশগ্রহণ দেখে ভালো লাগছে; যেহেতু চন্দ্রাবতী বাঙলা ভাষার প্রথম নারীকবি, এক্ষেত্রে কোটাবিরোধী হওয়ার উপায় নেই। বক্তব্যে তিনি চন্দ্রাবতী-জয়ানন্দের অমর প্রেমকাহিনির প্রসঙ্গও টানেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত কবিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করেন কবি আসাদ মান্নান। এর পর মূলপর্ব কবিতা পাঠ শুরু হয়। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন সর্বকবি কামাল চৌধুরী, আবু হাসান শাহরিয়ার, আসাদ মান্নান, আশরাফুল মোসাদ্দেক, রহমান হেনরী, রনজু রাইম, কামরুজ্জামান কামু, স্যামুয়েল মল্লিক, রিঙকু অনিমিখ, সারাফ নাওয়ার, আবদুল ওয়াদুদ, জাহানারা ইয়াসমিন, দীনা আফরোজ, মোশাররফ মাতুব্বর ও পলিয়ার ওয়াহিদ, রিক্তা রিচি ও ডালিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠান-সঞ্চালন করেন তাহমিনা শাম্মী।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post লস এঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কন্সুলেটের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র : নেপথ্যে কারা?
Next post সৌদি আরবে প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের জরুরি বৈঠক
Close