অভিবাসন বিষয়ে কঠোর নীতিমালার প্রস্তাবে কংগ্রেস যদি রাজি না হয়, সে ক্ষেত্রে আমেরিকা সরকারের অচলাবস্থাই (শাটডাউন) দেখতে পছন্দ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল হোয়াইট হাউসে আইন প্রয়োগ প্যানেলের এক সভায় তিনি এমনটাই বলেন।

ট্রাম্পের এই কঠোর নীতিমালার অংশ হিসেবে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলবে যুক্তরাষ্ট্র। পরে দেশটির তথাকথিত ‘ড্রিমারস’ বা যারা ছোটোবেলায় মা-বাবার সঙ্গে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে, তাদের বৈধতা দেওয়া হবে। দেশটিতে এ ধরনের অভিবাসীর সংখ্যা ১৮ লাখ।

তবে এতে সমর্থন প্রয়োজন হবে বিরোধী ডেমোক্রেটদের। শুরু থেকেই এই দেয়াল তোলা আর অর্থ জোগানের ব্যাপারে বিরোধিতা করে আসছিলেন ডেমোক্রেটরা। কংগ্রেসকে এই ‘ড্রিমার’দের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসতে ৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প।

তবে এ সমর্থন না পেলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অচলই দেখতে পছন্দ করবেন বলে জানান তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, ‘যদি আমরা এ অবস্থার পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে সরকার বন্ধই হয়ে যাক। আমরা বন্ধ করে দিই এবং এটাই আমাদের দেশের জন্য ভালো হবে।’

সভায় ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আমরা যদি আইনটি পরিবর্তন না করি, যদি এই পথগুলো বন্ধ না করি, যেদিক দিয়ে হত্যাকারীরা আমাদের দেশে ঢুকছে আর হত্যা করে চলেছে, যদি না পারি, বন্ধ হয়ে যাক। এই বিষয়টির সমাধান না করা হলে আমি এটা দেখতেই পছন্দ করব।’

এদিকে সিনেটের ডেমোক্রেটিক নেতা চাক স্কামার বলেছেন, ‘ট্রাম্প তাঁর কথাই বলছেন। সরকারের অচলাবস্থা শুধু ট্রাম্পই চান, সম্ভবত উনি ছাড়া আর কেউই চান না।‘

তবে পরে ট্রাম্প সরকারের অচলাবস্থার জন্য ওকালতি করছেন না বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিবাসনের ওপর একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।

রিপাবলিকান নেতা জিম জর্ডান মার্কিন গণমাধ্যম দ্য হিলকে বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই।’

তবে দেশটিতে অভিবাসীদের প্রবেশ আরো কঠিন করে তুলতে ভেটিং সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস। যার মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে বলে জানা যায়।

Previous post খালেদা জিয়ার রায়; মালয়েশিয়া বিএনপি’র প্রতিবাদ
Next post একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ জন
Close