Read Time:2 Minute, 34 Second

মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কয়েকটি অনুরোধ জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তারা স্বাগত জানায়।

বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, এটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তাদের গুমের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার দৃষ্টান্ত, যা জবাবদিহি ও ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন বিচার প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হয়—যেখানে যথাযথ বিচারপ্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা, ন্যায়সংগত বিচারের অধিকার এবং বেসামরিক আদালতে শুনানির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

মানবাধিকার সংস্থাটি সরকারকে আরো আহ্বান জানিয়েছে, যেন আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ থেকে বিরত থাকা হয়।

অ্যামনেস্টি উল্লেখ করেছে, মামলাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। কারণ এটি প্রথমবারের মতো সক্রিয়ভাবে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের গুম ও নির্যাতনের মতো অপরাধের অভিযোগে বেসামরিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করার ঘটনা।

চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিটি অভিযোগপত্র গ্রহণের পর ১৫ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।

এর পর থেকে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ঢাকার সেনানিবাসের একটি সাবজেলে রাখা হয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post নির্বাচনের আগে প্রশাসনের রদবদল নিজেই তদারকি করবেন প্রধান উপদেষ্টা
Next post কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি
Close