Read Time:3 Minute, 19 Second

ক্ষমতায় থেকে নতুন দল করলে লোকে কিংস পার্টি বলবে, জনগণও এটা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা অন্যান্য দলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। লক্ষ্য আমাদের একটাই-দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করা। সবাই ধৈর্য ধরেন। একটা ফ্যাসিস্টকে সরানো হয়েছে। আমরা চাই এই সরকার যেন অবশ্যই নির্বাচন সম্পন্ন করে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ধামরাই উপজেলার যাত্রাবাড়ী মাঠে বিএনপির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি ও রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশে আয়োজন করে ঢাকা জেলা বিএনপি।

এসময় ফখরুল বলেন, নতুন সুযোগ যেন আমরা হেলায় না হারাই সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ শত্রুরা দেশে বিভিন্ন রকম টোপ ফেলছে। ট্রাপ করছে যাতে আমরা উত্তেজিত হয়ে যাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। তাই দেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান গণতন্ত্রের জন্য কোনো আপস করেননি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিকে ভেঙে ফেলার বার বার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপিকে ঠেকানো যাবে না। শেখ হাসিনা তার দল ও দেশের দিকে না তাকিয়ে পালিয়ে গেছেন। তার ওপর দেশের মানুষের আস্থা নেই। অথচ খালেদা জিয়া বার বার বলেছেন এই দেশ থেকে কোথাও যাবো না। যাবেন না বলেই তিনি ৬ বছর কারাগারে ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতি ধ্বংস করেছে। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দলই রাখতে চায়নি। ২০১৪ সালে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, কেন্দ্রে শুধুমাত্র কুকুর দেখা গেছে। অনেকেই নাম দিয়েছি কুত্তা মার্কা নির্বাচন। ২০১৮ সালে নিশিরাতে নির্বাচন ও ২০১৪ সালে ডামি নির্বাচন করেছিল পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে বসে আবারও দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে চলেছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ২৮ ফেব্রুয়ারি
Next post চীন সফরে গেল মঈন খানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল
Close